ঢাকা: বাংলাদেশ নারী ফুটবল লিগে শিরোপা জয় করায় বসুন্ধরা কিংসের নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স হলে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের হাতে সম্মাননার চেক তুলে দেন বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর জুয়েল মাজহার।
বসুন্ধরা গ্রুপের ম্যাডাম চেয়ারম্যান ও ম্যাডাম ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষ থেকে কোচ ও ফুটবল টিমের প্রত্যেক সদস্যকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও ফুটবল টিমের অধিনায়ক ও সর্বোচ্চ গোলাদাতা সাবিনা খাতুনকে ৩ লাখ টাকা এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট তহুরা খাতুনকে ২ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
এসময় ইমরুল হাসান বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ম্যাডাম নারী ফুটবল টিমকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান ম্যাডাম ও এমডি ম্যাডাম সকলের জন্য শুভকামনা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বসুন্ধরা গ্রুপ অনেকদিন ধরেই খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। ফুটবল-ক্রিকেটের পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে বসুন্ধরা কিংসের যাত্রা শুরুর পর হতেই বাংলাদেশের ফুটবল জগতে নবজাগরণ শুরু হয়েছে। পুরুষ ফুটবলের পাশপাশি এবার আমরা নতুন করে নারী দল গঠন করলাম। আমি মনে করি, নারী ফুটবল দলে সোনা নয় সেখানে হীরা ফলেছে। নারী ফুটবল টিম যে রেকর্ড গড়েছে আমার মনে হয়, অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য ফুটবলে এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। সেজন্য আমরা সকল খেলোয়াড়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি যারা কোচিংয়ের সঙ্গে আছে তাদেরকেও অভিনন্দন। তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট বলেন, বসুন্ধরা কিংস এ পর্যন্ত নারী ফুটবল নিয়ে ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে পাঁচটিতে চ্যাম্পিয়ন ও একটিতে রানার্স-আপ হয়েছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটাও একটা বিশাল অর্জন। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক আসরেই চ্যাম্পিয়ন, প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক আসরে চ্যাম্পিয়ন ও নারী ফুটবল লিগেও অভিষেক আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এই রেকর্ড সহসা কারও দ্বারা ভাঙা সম্ভব হবে না। আমরা এতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য খেলোয়াড় এবং কোচদের সর্বাত্বক চেষ্টা আমাদের প্রয়োজন। আশা করি, আপনাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বসুন্ধরা কিংসের নাম দেশের বাইরে বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে পারব।
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, তোমরা যারা, খেলোয়াড়রা বসুন্ধরা কিংসকে গৌরবান্বিত করলে, সকলকে আমি অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছি। আর নারী ফুটবল টিমকে গড়ে তোলার জন্য কোচ টিম ও ম্যানেজমেন্ট শ্রম-মেধা দিয়ে আজকের এই পথ পরিক্রমা তৈরী করলেন, তাদের সকলকে অভিবাদন জানাচ্ছি।
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে, বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা ১২টি খেলায় ১১৯টি গোল দিয়েছে। এরকম ইতিহাস আমি পৃথিবীতে কোনোদিন শুনিনি। একটি মেয়ে একাই ৩৫টি গোল দিয়েছে। আমার কাছে এটি বিস্ময়ের ঘটনা। আমি মনে করি, আমাদের মেয়েরা শুধু বাংলাদেশ নয়, ফুটবলে গোটা পৃথিবীকে আলোকিত করবে। সেই স্বপ্নটা আমি দেখি। কারণ বসুন্ধরা কিংস একটি নারী ফুটবল টিম তৈরী করলো এবং সেই মেয়েরা দেশ কাঁপিয়ে দিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসই/ইউবি