ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

টাইব্রেকারে নাটকীয় জয়ে মোহামেডানকে হারিয়ে সেমিতে সাইফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
টাইব্রেকারে নাটকীয় জয়ে মোহামেডানকে হারিয়ে সেমিতে সাইফ মোহামেডানকে হারিয়ে সেমিতে সাইফ। ছবি: শোয়েব মিথুন

ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে সাইফ।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতাত শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে অমীমাংসিত ভাবে খেলা শেষ হলে টাইব্রেকারে সাডেন ডেথে ৭-৬ গোলে মোহামেডানকে হারায় সাইফ।

টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচ শটে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইকেচুকু কেনেথ, শাহেদুল আলম শাহেদ, জন ওকোলি, এমানুয়েল আরিয়াচুকু গোল করেন করেন।  ইয়াসিন আরাফাতের নেওয়া চতুর্থ শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। অন্য দিকে মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে, উরু নাগাতা, হাবিবুর রহমান সোহাগ, মোহাম্মদ মিঠু গোল করেন। দুই নম্বর শট নিতে গিয়ে মিস করেন আমিনুর রহমান সজীব।

এরপর সাডেন ডেথে নেওয়া তিনটি শটের মধ্যে মোহামেডানের কৌলিদিয়াতি, আমির হাকিম বাপ্পী গোল করেন। আতিকুজ্জামান গোল করতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে সাইফের রহিম উদ্দিন, রহমত মিয়া গোল করার পর উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার সিরোজুদ্দিন রাভমাতুল্লায়েভের স্পট কিকেই জয়ের আনন্দে ভাসে সাইফ।

এর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গিয়ে যায় মোহামেডান। ফরহাদ মনার  নেওয়া শট সাইফের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্নার থেকে বুরকিনা ফাসোর মনিজর কৌলিদিয়াতির কাছ থেকে হেডের মাধ্যম বল পেয়ে সেই বল আবার হেড দিয়ে গোল করেন আতিকুজ্জামান।

তবে সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি সাইফ। সপ্তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কর্নার থেকে হেড দিয়ে গোল করে সাইফকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমানুয়েল।

এরপর প্রথমে পিছিয়ে পড়া সাইফ মোহামেডানের বিপক্ষে লিড নেয়। ১৩ মিনিটে  তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে দারুণ এক গোল করেন সাইফের নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ইকেচুকু কেনেথ। ১৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট হয় সাইফের। গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যররথ হন মিডফিল্ডার জন ওকোলি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরে মোহামেডান। ৪৩তম মিনিটে জাফর ইকবালের জোরালো শট মোহামেডানের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। সেই কর্নার থেকেই শাহেদ মিয়ার নেওয়া শট মালির স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতে হেড দিয়ে স্কোর লাইন ২-২ করেন।

বিরতির পর ৬২ মিনিটে সাইফের কেনেথের শট ফিরিয়ে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক বিপু। নির্ধারিত সময়ের যোগ করা সময়ে সাইফের ওকোলির শট পা বাড়িয়ে রক্ষা বিপু আটকান নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডারের প্রচেষ্টা।

অতিরিক্ত সময়ের ১০৯ মিনিটে গোলের সহজ একটি সুযোগ নষ্ট করেন সাইফের রহিম উদ্দিন। পেনাল্টি বক্সের বামদিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার দুর্বল শট করেন তিনি। কর্নারের বিনিময়ে দলক বিপদমুক্ত করেন বিপু।  

ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারের সাহায্য নিতে হয়। সেখানেই নাটকীয় এক জয়ে মোহামেডানকে পরাস্ত করে সাইফ। সেমিফাইনালে সাইফ স্পোর্টিংয়ের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
আরএআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।