ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টারই ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ার শুরু করেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এরপর ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর হয়ে জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা।
২০০৯ সালে রেকর্ড পরিমান ট্রান্সফার ফি’তে ম্যানচেস্টারই ইউনাইটেডে যাত্রা শুরু করেন রোনালদো। রেড ডেভিলদের হয়ে পর্তুগিজ এ তারকার সঙ্গে মাঠ মাতিয়েছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার রিচার্ড একের্সলিও। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে রোনালদো ক্যারিয়ার রাঙালেও তা করতে পারেননি একের্সলি। বেশি বেতনের লোভে তিনি পাড়ি জমান তৃতীয় সারির ক্লাব বার্নলেতে। সেখানে গিয়ে আর ভালো করতে পারেননি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দল হারিয়ে শেষ পর্যন্ত তিন বছর যুক্তরাস্ট্রের মেজর সকার লিগে খেলেছেন একের্সলি। এরপর চোট, ফর্মহীনতা মিলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ালেও বর্তমানে দুধের ব্যবসা করে ভালোই দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি করছেন সাবেক এ ম্যানইউ মিডফিল্ডার।
'দ্য অ্যাথলেটিক'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একের্সলি বলেন, ‘আমি আসলেই সুখে আছি। নিজের নিয়তি আমার হাতে এবং আমার কাছে এটাই অমূল্য। সমুদ্রতীরের কাছে, জলাভূমি আছে, নদী আছে, সেখানে আমার মেয়েরা বড় হবে। আমরা এমন এক সমাজে আছি, যেখানে ৪০ জন মানুষ আছেন। আমাদের নিজের বাড়ি আছে, বাগান আছে। ১০ একর জমি আমরা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করি, নিজেদের খাবার নিজেরা উৎপাদন করি। এ গ্রামে কোনো রাস্তা নেই। এটা দারুণ। এখানে নৈতিকতাই মূল কথা। ’
ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ডেভনে সমুদ্রের তীরে ছোট্ট একটা স্থান টটনেসকে থাকার জন্য বেছে নিয়েছেন একের্সলি। সেখানে সবাই নিরামিষভোজী এবং দুধ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শতভাগ জৈবিক। একের্সলির খামারে প্রতি মাসে ২৫ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। সবকিছুই পুনরায় ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
আরইউ