নানা প্রতীক্ষার পর ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করলো ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। সপ্তমবারের মতো ইতিহাস গড়ে এ পুরস্কার নিজের করে নিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
গত বছর বার্সেলোনায় ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল থাকা এ ফরোয়ার্ড আলো ছড়িয়েছেন কোপা আমেরিকাতেও। দারুণ পারফর্ম করে জিতে নেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। অপরদিকে গোলস্কোরের দিক থেকে কোনোদিকে কম নয় বায়ার্ন ফরোয়ার্ড লেভানডোভস্কি ও পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যে কারণে এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়ে সমালোচনার যেন শেষ নেই।
ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অরজয়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ এক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। প্রথমে ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ শীর্ষ ফুটবলারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর সেখান থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক সেরা পাঁচ খেলোয়াড় নির্বাচন করেন। প্রত্যেক সাংবাদিক পাঁচজন খেলোয়াড়কে ক্রমানুসারে ভোট দিতে পারেন। যে খেলোয়াড়কে প্রথমে রাখবেন, সে খেলোয়াড় পাবেন ৬ পয়েন্ট। এভাবে ক্রমানুসারে ওই সাংবাদিকের তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ফুটবলার পাবেন যথাক্রমে ৪, ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট।
এভাবে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকের মোট ভোট থেকে হিসাব করা হবে কোন খেলোয়াড় মোট কত পয়েন্ট পেয়েছেন। যার প্রাপ্ত পয়েন্ট বেশি হয়, তার হাতেই উঠে ব্যালন ডি’অর। এবার সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছেন মেসি। তাই তার হাতেই উঠেছে ব্যালন ডি’অর।
মেসির পয়েন্ট ছিল ৬১৩। ৫৮০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রবার্ট লেভানদোভস্কি। এছাড়া জর্জিনহো ৪৬০, করিম বেনজেমা ২৩৯ পয়েন্ট, এনগোলো কান্তে ১৮৬ পয়েন্ট ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১৭৮ পয়েন্ট পেয়েছেন।
ব্যালন ডি’অরের এবারের আসরে রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে ছিল ৫ জন। ২০১০ সালের পর এটাই ব্যালন ডি’অরে রোনালদোর সবচেয়ে খারাপ তালিকা। কিন্তু এই তালিকা তো হয়েছে ভোটের মাধ্যমে। নিজ দেশের সাংবাদিক জোয়াকিম রিটার ভোটও কপালে জুটেনি রোনালদোর।
পর্তুগিজ সাংবাদিকের ভোটগুলো যারা পেয়েছে তারা হচ্ছেন:
- প্রথম ভোট - এনগালো কন্তে
- দ্বিতীয় ভোট - রবের্ত লেভানডোভস্কি
- তৃতীয় ভোট- কিলিয়ান এমবাপ্পে
- চতুর্থ ভোট - জর্জিনিয়ো
- পঞ্চম ভোট- মোহামেদ সালাহ
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
আরইউ