ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ফুটবলীয় আদর্শ মানেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ফরাসি ফরোয়ার্ডের মত বদলে যাচ্ছে।
বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি যখন পিএসজিতে যান, এমবাপ্পে তখন কিছুটা যেন উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাওয়ার পর থেকে নিজেকে কিছুটা আড়ালে সরিয়ে নেন তিনি। কিন্তু রোনালদোর প্রতি তার ভালোবাসায় ভাঁটা পড়েনি। ফলে মেসির সঙ্গে তার দূরত্বটা প্রায় দৃশ্যমান ছিল।
পিএসজির মালিকপক্ষ মেসির মাধ্যমে এমবাপ্পেকে প্যারিসেই থেকে যেতে রাজি করানোর আশায় ছিল। তাদের ধারণা ছিল, কয়েকমাস একসঙ্গে খেললেই মেসি-এমবাপ্পের বন্ধুত্ব হয়ে যাবে। এমনকি মেসিকে আনার পর এমবাপ্পেকে নতুন চুক্তির প্রস্তাবও দেয়া হয় পিএসজির পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও চুক্তি নবায়নে রাজি হননি ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
যাই হোক, এরইমধ্যে মেসি ও এমবাপ্পের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে পিএসজির ৪-১ গোলে জয়ে জোড়া গোল করেছেন দুজনেই। ম্যাচ শেষে আক্রমণভাগের সঙ্গী মেসির ভূয়সী প্রশংসা করেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে সপ্তম ব্যালন ডি'অর জেতায় মেসিকে অভিনন্দনও জানান তিনি।
মেসি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাকে বিশ্বসেরা তকমা দেন এমবাপ্পে। ইঙ্গিতে আসলে রোনালদোর চেয়ে মেসিকেই এগিয়ে রাখেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "মেসির সঙ্গে খেলা খুব সহজ। সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। সে কয়েকদিন আগেই ব্যালন ডি'অর জিতেছে। আজ সে জোড়া গোল করেছে, সে তাতে খুশি এবং আমি আশা করি সে ভবিষ্যতেও আমাদের সাহায্য করবে। "
মেসিকে নিয়ে এমবাপ্পের এত প্রশংসাবাক্যের কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এমবাপ্পে কি তাহলে রোনালদোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন? হয়তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা এখনও এমবাপ্পের প্রিয় খেলোয়াড়। কিন্তু মেসি ধীরে ধীরে সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছেন। মেসি যদি এমবাপ্পেকে সঙ্গী করে পিএসজির জার্সিতে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে নেন, তাহলে হয়ত অনেক কিছু পাল্টে যাবে।
পিএসজি যদি এবার ইউরোপ-সেরা হতে পারে, এমবাপ্পেও হয়ত আর রিয়ালে যেতে চাইবেন না। একথা বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না, পিএসজির ভবিষ্যত মেসি-এমবাপ্পে জুটির ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমএইচএম