বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে গ্রুপ পর্বেই। স্বাধীনতা কাপে এবার 'অপেশাদার' দল হিসেবে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে সেরা আটে উঠে চমকে দিয়েছিল কেবল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলে জিতেছে মারিও লেমোসের দল।
শুরু থেকেই সেনাবাহিনীকে চেপে ধরে আবাহনী। তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তোর জোরালো শট ফেরান সেনাবাহিনী গোলরক্ষক আলমগীর হোসেন। ২১তম মিনিটে রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভার ক্রসে দোরিয়েলতনের ব্যাক ভলি ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
৩৩তম মিনিটে দানিয়েল কলিনদ্রেসের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ৪১তম মিনিটে কলিনদ্রেসের ক্রসে দোরিয়েলতনের হেড আলমগীর ঝাঁপিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারলে, ফিরতি বলে রাকিবও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন। ৪৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে অগাস্তোর ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন কলিনদ্রেস। আবাহনীতে নাম লিখিয়ে এই প্রথম গোল পেলেন সাবেক বসুন্ধরা কিংস ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি বাড়ায় আবাহনী। ফলও আসে ৬৭তম মিনিটে। বাঁ দিক থেকে কলিনদ্রেসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড জীবন। ৭০তম মিনিটে পর বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কলিনদ্রেসের বাঁকানো ফ্রি কিকে বল সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়।
৭৬তম মিনিটে বড় জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর। দি সিলভার পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলমুখে বল বাড়ান রাকিব। সেখান থেকে ইমন মাহমুদ বাবুর হেডে পরাস্ত হন সেনাবাহিনী গোলরক্ষক। এরপর নির্ধারিত সময়ের ৯ মিনিট আগে রাকিবকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন সেনাবাহিনীর ডিফেন্ডার হুমায়ন কবির খান। সেনাবাহিনীর ঘুরে দাঁড়ানোর পথও তাতে একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়:২১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এমএইচএম