আরেকবার সপ্নভঙ্গ হলো মিশরের। আফ্রিকান নেশন্স কাপে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় সেনেগাল। চতুর্থ মিনিটে দলটির পাওয়া ফ্রি-কিক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি মিশরের ডিফেন্ডার বউলায়ে দিয়া। ভুল হেডে আত্মঘাতী গোল করে বসে। আর এই গোলেই বিশ্বকাপ যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায় সালাহদের। প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকা সেনেগাল ফিরে সমতায়।
ম্যাচের পুরো সময়জুড়ে সালাহ যেখানে ছিলেন নিষ্প্রভ, সেখানে একের পর এক আক্রমণ বানিয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করছিলেন তারই সতীর্থ মানে। প্রধমার্ধে ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা সেনেগাল নিয়েছে ৮টি শট। লক্ষ্যে ছিল ৩টি শট। অপরদিকে মিশর যেন ঠিক তার উল্টো। এসবের নেপথ্যে থাকতে পারে গ্যালারি থেকে সেনেগাল ফ্যানদের লেজার রশ্মি ও বোতল মারার বিষয়। এসব কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে সফরকারীরা।
বিরতির পর এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও লাভ হয়নি মিশরের। দারুণ দুটি আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি দলটি। অপরদিকে সেনেগার চারটি শট নিয়ে একটিও সফল করতে পারেনি। ফলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানেও গোলের দেখা না পাওয়ায় আফ্রিকান নেশন্স কাপের মতো টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।
টাইব্রেকারে সেনেগালের হয়ে প্রথম শটটি করতে এসে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সেনেগাল সেন্টারব্যাক কালিদু কৌলিবালি। মিশরের হয়ে প্রথম শট করতে এসে লেজার রশ্মি ছাপিয়ে লক্ষ্যে বল রাখতে পারেননি সালাহ। গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরবর্তী দুই শটে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কেউই। তৃতীয় শটে এসে জাল খুঁজে পান সেনেগালের ইসমাইল সার। পরের শটে মিশরকে সমতায় ফেরান এল সোলেয়া
চতুর্থ শটে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবদান ২-১ করেন সেনেগালের বাম্বা দিয়েং। পরবর্তী শটে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন মিশরের মোস্তাফা মোহাম্মদ। পরে শট করতে এসে সহজেই জাল খুঁজে নিয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে সেনেগালকে বিশ্বকাপে তোলেন সাদিও মানে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
আরইউ