প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে দুই গোল করে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ম্যাচটি ২-২ সমতায় শেষ হয়েছে। এর আগে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটিও একই ব্যবধানে শেষ হয়েছিল।
ম্যাচের ১৩রম মিনিটেই চোট নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়েন সাইফের ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাগ। তার বদলে নামেন আরেক ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসেন। তবে আক্রমণে খুব একটা সমস্যা হয়নি সাইফের। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে সুযোগ পায় তারা। ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন এমেরি বাইসাঙ্গে। জামাল গোলকিপার নাঈম দুইবারের চেষ্টায় বল আটকে ফেলেন। ৩১তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার কিক থেকে বাইসাঙ্গের আরেকটি হেড অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল।
প্রথমদিকে আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও প্রথম গোলটি হজম করে সাইফ। ৩৭তম মিনিটে শাকিল আহমেদের কর্নার কিক থেকে সোহানুর রহমানের হেড সাইফের জালে জড়ায়। এরপর ৪৪তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ফয়সাল আহমেদের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি শেখ জামালের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরার বেশকিছু সুযোগ পায় সাইফ। কিন্তু ফল আসছিল না। এর মধ্যে ৬৭তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রহিম উদ্দিনের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকান জামাল গোলরক্ষক নাঈম।
৭৪তম মিনিটে বাইসাঙ্গের গোলে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে আসরোর গফুরভের হেডে জামালের ডিফেন্ডার মাজহারুল ইসলাম সৌরভের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দুই মিনিট পর স্পটকিকে গোল তুলে নেন বাইসাঙ্গে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা পায় সাইফ। বক্সের বাইরে বাঁ প্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের পাসে বক্সে বল পান আসরোর গফুরভ। প্রতিপক্ষ দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নেওয়া এই উজবেক মিডফিল্ডারের কোনাকুনি শটে বল জালের ঠিকানা খুঁজে নেন।
গফুরভের ওই গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সাইফ। কিন্তু একদম অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি আদায় করে নেন সোহানুর রহমান। তার নেওয়া শট সাইফ ডিফেন্ডার আবিদ রহমানের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে জনোভ ওতাবেক বল জালে জড়ানোর পরই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুই দল।
এই ড্রয়ে লিগে রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ল দুই দলই। ১৯ ম্যাচে ৩৪ করে পয়েন্ট নিয়ে সাইফ স্পোর্টিং তৃতীয় ও সমান পয়েন্ট নিয়েও শেখ জামাল চতুর্থ স্থানে আছে। ১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনী লিমিটেড ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এমএইচএম