কলকাতা: অনেকটা শিথিল হলেও বাংলাদেশে এখনও জারি রয়েছে কারফিউ। সেই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিকভাবে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার (২৭ জুলাই) কলকাতা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কলকাতাগামী যে রেল পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল তা এখনই চালু হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে ছাড়ার কথা ছিল এবং ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৭ জুলাই কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল, সেটি বাতিল থাকবে। ফলে যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছিল তাদের সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র অর্থ ফেরত পাবে না যারা টিকিট হারিয়ে ফেলেছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয় গোটা বাংলাদেশ। সহিংসতার কারণে অচল হয়ে যায় গোটা দেশ। এর জেরে গত শনিবার (২০ জুলাই) পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। দেশটির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সে কারণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি। রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পেট্রাপোলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও গাড়ি। দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ব্যবসায়ী থেকে পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরা।
অপরদিকে গত ১৯ জুলাই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। সেই সিদ্ধান্ত আগামীতেও বহাল থাকলো বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। তাদের অভিমত, এ মুহূর্তে রেল চলাচলের বিষয়ে সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ সরকারের ওপর। তারা সবুজ সংকেত দিলেই আগামী দিনে রেল পরিষেবা চালু হবে দুদেশের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
ভিএস/আরবি