ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, নিহত ৩

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
ভারতে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, নিহত ৩

কলকাতা: ভারতে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস চক্রধরপুর ডিভিশনে লাইনচ্যুত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোরে ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনে বরাবাম্বু ও রাজখারসাওয়ানের মাঝে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত প্রায় অর্ধশত।

জানা যায়, হাওড়া থেকে ছেড়ে আসা মুম্বাইগামী সিএসএমটি এক্সপ্রেস যখন ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে আসে তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কিন্তু কী কারণে এ দুর্ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ধারণা করা হচ্ছে, যে লাইন ধরে এক্সপ্রেসটি ট্রেনটি মুম্বাইয়ের দিকে রওনা হচ্ছিল, সেই লাইনে আগে থেকেই লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল একটি মালবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি। সেই বগির সঙ্গে সংঘর্ষেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। দুর্ঘটনার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮টি বগি।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, যে জায়গায় মুম্বাইগামী ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তার কাছেই একটি মালগাড়িও লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এ দুটি দুর্ঘটনার মাঝে কোনও যোগ রয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ভারতে এ নিয়ে গত ২ মাসে পরপর তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে। গত ১৭ জুন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ছাতারহাট-রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ১৫ জনের বেশি। ১৮ জুলাই উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। ২৯ জুলাই দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় নয়াদিল্লিগামী সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। চলন্ত অবস্থায় কাপলিং ছিঁড়ে যাওয়ায় ট্রেনটি দুটি অংশে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তবে প্রাণ যায়নি কারো।

মঙ্গলবারের রেল দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতি সপ্তাহে একটা করে বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা। আর কতদিন এভাবে সহ্য করতে হবে? ঘন ঘন এ রেল দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, রেলে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় দাবি করে সরকার। তারপরও দুর্ঘটনা কীভাবে হচ্ছে? কেন সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিরোধীরা দলগুলোও।

ইতোমধ্যে হাওড়ায় স্টেশনে খোলা হয়েছে হেল্পডেস্ক ও হেল্পলাইন নম্বর। যাত্রীদের পরিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে, খোঁজ নিচ্ছে প্রিয়জনের। দুর্ঘটনার কারণে ওই লাইনের বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মুম্বাইগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো বহু ট্রেন ঘুর পথে চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।