ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন, জমেনি সিঁদুর খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশন, জমেনি সিঁদুর খেলা

কলকাতা: কলকাতায় রোববার পালন হলো বিজয়া দশমী। নারীরা সিঁদুর খেলার মধ্য দিনটি পালন করেছেন।

সনাতনী নিয়ম অনুযায়ী, বাপের বাড়ি অর্থাৎ মর্ত্যলোক ত্যাগ করে গঙ্গাবক্ষ ধরে দুর্গা ফিরে যাচ্ছেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। সেই সনাতনী রীতি মেনে দেবী দুর্গা অর্থাৎ ঘরের উমার বিদায় নেওয়ার পালা। আবারও এক বছরের অপেক্ষা। বাংলার বুকে তাই ঘরের উমাকে বিদায় দিতে চলে নানা রীতি। তারই একটা অংশ সিঁদুর খেলা।

হিন্দু বিবাহিত নারীরা এদিন উমার কাছে একটাই প্রার্থনা করেন, তা হলো—‘যে শাখা সিঁদুর নিয়ে তুমি যেমনভাবে আমাদের দেখে গেলে, ফিরে এসে যেন এভাবেই আমাদের দেখো’। সেই প্রার্থনায় চলছে সিঁদুর খেলা। একই সাথে ঘরের মেয়েকে চোখের জলে বিদায় দেওয়া যায় না। তাই আসছে বছর আবার হবে, এই বার্তা নিয়েই গঙ্গার দিকে চলেন সবাই।

তবে এবার দুর্গাপূজায় খুব খুব একটা সাড়া পড়েনি কলকাতায়। একদিকে যখন উৎসব চলছে তখন আরজি কর কাণ্ডের বিচার ও ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ৭ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক।

রোববার (১৩ অক্টোবর) অনশন কর্মসূচি নবম দিনে পড়ল। অনশনকারীদের তিনজন এরমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন অন্য তিনজন। আন্দোলনকারীদের দাবি যতদিন তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে না, ততদিন অনশন মঞ্চ ফাঁকা থাকবে না। পাশে রয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসরা।



এরইমধ্যে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপালগুলো রাজ্য সরকারকে দাবি মানার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই মর্মে কলকাতার অ্যাপলো, পিয়ারলেস এবং কস্তুরি হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছে, সোমবার থেকে তারা শুধু খোলা রাখবে জরুরি বিভাগ। এর বাইরে তারা আর কোনো চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না।

ফলে চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের ওপর। তবে চিকিৎসকরা আন্দোলনের পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এই অন্দোলন সমর্থন পাচ্ছে সবার। প্রতিদিন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ভিড় বাড়ছে শহরবাসীর। এই আবহে কলকাতায় পালিত হচ্ছে বিজয়া দশমী। তবে দুই-একদিনে মধ্যে রাজ্যজুড়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।