কলকাতা: রায়গঞ্জ থেকে নিয়ে এসে সরাসরি ভবানীপুরে তাকে প্রার্থী করছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা। কারণ মহিলা নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিত বিরোধী দীপা দাশ মুন্সি।
ভোটের প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পর যে তথ্য সংগ্রহ করা গেল সেদিকে নজর দিলে দেখা যাবে প্রচারে তিনি কড়া টক্কর দিয়েছেন ধারে-ভারে অনেকটা এগিয়ে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
যেখানে সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রচার মূল কাণ্ডারি হওয়ায় নিজের কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে সময় পাননি মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে এলাকার প্রায় সমস্ত বাড়িতে গিয়ে কড়া নেড়েছেন দীপা দাশ মুন্সি। নিজের কেন্দ্রে সাকুল্যে মাত্র ৬টি জনসভা করতে পেরেছেন মমতা, সেখানে ৪০টি জনসভা করেছেন দীপা।
তিনটি বড় শোডাউন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শোডাউন করেছে ৬টি। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে অবাঙালি ভোটার আছে। প্রতিটি রাজ্যের ভোটারদের নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন দীপা দাশ মুন্সি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল অবাঙালি ভোটের বড় অংশ যাবে তৃণমূল এবং বিজেপি’র দিকে। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করছেন এই নেত্রী।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তার মোড়ে, গলির মুখের ছোট ছোট সভায় যোগ দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী, যেখানে দীপা দাশ মুন্সি উপস্থিতি ছিল প্রায় সবকটিতেই। প্রতিটি মিছিলে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিপক্ষ। কিন্তু পাড়ার মিছিলে সময় দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রচারকে কোন গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী সবসময় প্রচারে না থাকলেও, তার নেতারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে বিরোধীরা বলছেন ভবানীপুর চমক দেওয়ার কেন্দ্র। এই কেন্দ্রেই সিপিএম-এর হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে ভারতের রাজনীতির মঞ্চে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই চমক কিছু একটা হলেও হতে পারে। তবে একই চমকের কথা বলছেন বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বোসও। তিনিও প্রচারে কমতি রাখেননি। এখন দেখার বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মহীরুহ প্রার্থীকে আদৌ বেগ দিতে পারবেন কিনা তার প্রতিপক্ষরা। নাকি বিগত দিনের মতোই ২ লক্ষ ২ হাজার ৬৫৫ জন ভোটারের বেশিভাগের সমর্থন তাঁর ঝুলিতেই জমা হয়। উত্তর দেবে ১৯ মে’র ফলাফল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৬
ভিএস/জিসিপি/আরআই