আসাম সীমান্তের কুমারগ্রামে এক জনসভায় দাপটের সঙ্গেই এ ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসাম লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার এ অংশে বাঙালি, বিহারি আর মাড়োয়ারির মিশ্র অবস্থান রয়েছে।
‘৩ কোটি ৩৯ লাখ মানুষের মধ্যে বাদ গিয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখের নাম। শুধু বাঙালি নয়, বিহার ও রাজস্থানের বহু মানুষের নামও বাদ দেওয়া হয়েছে’।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাঙালির গায়ে হাত পড়লে আমার যেমন কষ্ট হয়, তেমনই বিহারি আর রাজস্থানের ভাই-বোনদের গায়ে হাত পড়লেও আমার ব্যথা লাগে। পশ্চিমবঙ্গে আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। একে অপরের পাশে থাকি। আমার ভাই-বোনদের মেরে তাড়াবে! কেন কী দোষ তাদের?
বাংলায় কিছু হলে আসামে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। কিন্তু আসামে কিছু হলে বাংলায় তার বিস্তর প্রভাব পড়ে। আসামে যদি এই বিদ্বেষ শুরু হয়, গোটা দেশে তার প্রভাব পড়বে।
এরপরই স্থানীয়দের কাছে মমতার আর্জি, কেউ যদি চলে আসেন, স্থান দেবেন। নিজের মনে করে ঠাঁই দেবেন। এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে জীবন-জীবিকার জন্য যাবেন, থাকবেন, এটাই তো রীতি। আমাদের রাজ্যেও ভিন প্রদেশের বহু মানুষ পেটের তাগিদে থাকেন।
এরপর কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির বন্ধুরা, তোমরা খুন করবে, আর আমরা আগলে রাখবো। এটাই তোমাদের সঙ্গে আমাদের তফাৎ! পশ্চিমবঙ্গে তো ভিনরাজ্যের ৩০ শতাংশ ছেলেমেয়ে কাজের তাগিদে রয়েছেন। তারা তো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে না! আর কত দাঙ্গা, আর কত ষড়যন্ত্র, আর কত চক্রান্ত করবে তোমরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
ভিএস/জেডএস