কবির নাম জামাল হোসেন। আসলে তিনি একজন কূটনীতিক।
৩০টি কবিতা সঙ্কলিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থটিতে। রচনা কর্মের পরিসর কবিতা ও চিত্রকলা। কবি ও চিত্রশিল্পী জামাল হোসেনের যুগল প্রয়াস পাঠককে আরও মনোনিবেশ করায়।
‘বকপক্ষী’ এখানে শান্তি ও প্রগতির প্রতীক। প্রেম ও প্রকৃতি একসাথে বিরাজমান। ‘সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ এখানে অশুভ শক্তির প্রতীক। সাম্রাজ্যবাদ, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি; একই অশুভ সত্তার গর্ভজাত তিন ভাই যেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শাণিত চেতনা, দ্রোহের আগুনে ঝলসানো অনবদ্য সাহস ও দেশপ্রেমের গভীর বোধ উদ্ভাসিত জামাল হোসেন কবিতায়।
জামাল হোসেন একাধারে কবি ও চিত্রশিল্পী। জন্ম ১৯৭৩ সালে গোপালগঞ্জে শুক্তাইল গ্রামে। পেশায় কূটনীতিক। কর্মজীবনে বদলির চাকারির কারণে কলকাতা ছাড়াও যেতে হয়েছে বহু দেশের বহু শহরে। সেইসব শহরের ছাপ তার ছবি ও কবিতায় প্রতিফলিত। প্যারিসের শিল্প ও শৌর্য, চীনের বেইজিং, ঐতিহ্যের রোম, ইউরোপ ও আরবের মিথস্ক্রিয়া তার কবিতায় খেলা করে।
মধুমতির স্নিগ্ধ জলধারায় স্নাত গোপালগঞ্জের শুক্তাইল। সবই যেন রমণীর ছবির মতো ধরা দিয়েছে কবির নির্মাণ সৃষ্টিতে। চড়কির মত জীবন তাকে প্রাণিত ও সমৃদ্ধ করেছে কবিতা ও চিত্রশিল্পীর যৌথ সৃজনে। স্ত্রী আবিদা হোসেন ও দুই পুত্র জাহিন ও রুহিন হোসেন এই তার সংসার।
‘বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ কবিতার বইটির মূল প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী ফরিদি নোমান। প্রকাশক পাঠক সমাবেশ। এবার কলকাতার ৪২তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়। কলকাতায় বাংলাদেশ প্যাভিলিনে ও ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাঠক সমাবেশের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
ভিএস/এমজেএফ