কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের দিনটা শুরু হয় প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারসহ শত শত কলকাতাবাসী অংশ নেয়।
রবীন্দ্রসদন সংলগ্ন কলকাতা কর্পোরেশনের শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের স্মরণে ফুল ও মালা দিয়ে সম্মান জানান উপ-কমিশনার তৌফিক হাসান, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মালা রায়সহ হাজারো ভাষাপ্রেমী কলকাতাবাসী।
গড়ের মাঠ সংলগ্ন কার্জন পার্কের শহীদ মিনারে ফুল দান করেন বুদ্ধিজীবী ও বিদ্বজ্জনেরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শঙ্খ ঘোষ, বিভাস চক্রবর্তী, বিমান বোস, ক্ষিতি গোস্বামীসহ একাধিক বাম নেতৃবৃন্দরা।
আরেকটি অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রভাতফেরির আয়োজন করে এবং তারা দমদম শিথির মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ করেন।
মাতৃযাদবপুর ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় কলকাতার বাঘাযতীনে। এতে মশাল, মুখোশ ও ব্যানারসহ নিয়ে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। যেখানে ফুল দেন গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়সহ একাধিক নেতা।
এছাড়া বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন থেকে ছোট ছোট প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়।
রাজ্য সরকারের চিন্তা-ভাবনায় যেন এবারই প্রথম লক্ষ্য করা যায় মাতৃভাষা দিবস পালনের গুরুত্ব। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষার মহত্ব বোঝানো হয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। এমনটি আগে তেমন দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
ভিএস/এনএইচটি