সেই সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
এই দিনটাকে স্মরণ করে যথাযথ মর্যাদায় রোববার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করল কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ দূতাবাস।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ সাধারণ জনতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনগুলোতে অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সৈনিক ও অন্যান্য স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তা ছিল জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসমূহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আলোচনায় প্রবীণ সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালি জনতার ওপর হত্যাকাণ্ডের যে ধ্বংসস্তূপ দেখেছি, তাতে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ এতো বিসর্জনের পর কোনো দেশ পরাধীন থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ত্রিশ লাখ জনগণের আত্মত্যাগ ও বহু নারীর সম্ভমের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। যে ধর্মান্ধতার কারণে বাঙলা ভাগ হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা তা অনেকাংশে ঘুচিয়ে দিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক মানুষগুলোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এগিয়েছিল।
সুভাষ সিংহ রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তানী সরকার ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল না মেনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর অপ্রত্যাশিতভাবে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে গুলিবর্ষণ চালায় যা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞ। এটি অপারেশন ‘সার্চ লাইট’ নামে পরিচিত। এ হত্যাকাণ্ড ছিল পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর পূর্ব পরিকল্পিত তিন মাসব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞের শুরু।
সবশেষে জহির রায়হানের প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে সাধারণ জনগণ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০১৮
ভিএস/আরএ