শনিবার (৩১ মার্চ) রাজ্যে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকেই নির্বাচনের এ সূচি ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্যের এই ২০ জেলায় ৪ হাজার ৬৫৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ভোট নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ হবে ৯ হাজার ২১৭টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৮২৫টি জেলা পরিষদ আসনের জন্যও। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮ হাজার।
আইন অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অর্থাৎ ২ এপ্রিল পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকছে ১৬ এপ্রিল।
নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর মোট ১২টি জেলায় প্রথম দফায় ১ মে ভোটগ্রহণ হবে।
তারপর দ্বিতীয় দফায় ৩ মে ভোট হবে ২টি জেলায় মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। কোচবিহার, আলিপুর, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহসহ বাকি ছয় জেলায় ভোট নেওয়া হবে ৫ মে।
নির্বাচন কমিশন আওর জানায়, কোনো আসনে পুনরায় নির্বাচন প্রয়োজন হলে, সেই আসনগুলোতে ৩, ৫ ও ৭ মে ভোট নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানের আগেই ভোটপর্ব সমাপ্ত করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। আর সে লক্ষ্যেই ৩ দফায় ভোট অনুষ্ঠানের জন্য কমিশনকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার।
এ ভোটই অনেকটা ঠিক করে দেয় পশ্চিমবঙ্গে কোন রাজনৈতিক শক্তিশালী হতে চলেছে এবং কে বসতে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে।
তাই বেশ গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারণায় নেমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
ভিএস/এমএ