রোববার (১ এপ্রিল) পাইকারিসহ কলকাতার মাছবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, টালিগঞ্জের মাছবাজারে সাড়ে তিন থেকে চারকেজি ওজনের কাতলামাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২২৫ রুপিতে। দেড়কেজি ওজনের রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৯৫ রুপিতে।
পাতিপুকুর বাজারের মাছবিক্রেতা অশোক বাংলানিউজকে জানান, বাজারে ইদানিং মাছের খুব সংকট। সামুদ্রিক মাছের জোগানও কম। অন্ধ্রপ্রদেশে রুই- কাতলাসহ সাধারণ কয়েক ধরনের মাছই বাজার ধরে রেখেছে। স্টোরে আগে থেকে জমা থাকা মিয়ানমারের ইলিশেও মন ভিজছে না কলকাতার বাঙালিদের। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার বিষয়টা এখনও পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি। হাওড়া ‘হোল সেল ফিশ মার্কেট স্টল ওনার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে রুই-কাতালাই এখন আমাদের ব্রেড অ্যান্ড বাটার। তবে বাজারে কমবেশী সব ধরনের মাছই আছে। আবার সামুদ্রিক মাছের আমদানিও সেভাবে হচ্ছে না। প্রায় একই কথা উত্তরের শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেহালার মাছ বাজারেরও।
ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস বাংলানিউজকে জানান, আমদানি ভালো হলেও চড়া গরমে বাজার নিম্নগামী। হাওড়ার মাছবাজার, এটি একটি বড় মাছ বাজার। এখানে সারাদিন পাইকারি মাছ বিক্রি হয়। প্রতিদিন সবমিলিয়ে প্রায় ৪শ’থেকে সাড়ে ৪শ’ টন মাছ বিক্রি হয়। এখানেই মূলত মিয়ানমার থেকে ইলিশ আসে। কিন্তু বর্তমানে সেই ইলিশের বাজারও ভালো নয়। এখান জোগান নেই চিংড়ি, ভেটকি, পমফ্রেট মাছের।
শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, কলকাতার বাজারগুলোতে মাছ আসে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র থেকে। কয়েকদিন ধরে রুই ছাড়া অন্য মাছ আমদানি হচ্ছে না কলকাতার মাছবাজারে। এজন্য কলকাতার বাঙালিদের ভরসা এখন শুধুই রুই-কাতলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
ভিএস/এএটি