এই নেতা বিক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, অন্য এলাকার লোক তো বটেই, এমনকি ভোটের দিন গ্রামের জামাই এলেও তাকে বলতে হবে, আজ ফিরে যাও৷ কাল এসো। মাছ ভাত খাওয়াবো।
এছাড়া নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে দলের নেতাকর্মীদের কী কী করতে হবে তা তাদের জানান দিলীপ ঘোষ। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে।
দিলীপ ঘোষের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ভোটের দিন দিলীপবাবু তার এই লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রাজ্যে থাকতে পারবেন তো? কারণ এ রাজ্যের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তারা এমন হুমকি কখনই বরদাস্ত করবে না।
পাল্টা উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই ভালো ফল করবে। তারা বুক চিতিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। শাসক দল যতই ধমক দিক না কেন তার মোকাবিলায় প্রস্তুত।
এবারে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে তিন দফায় ১, ৩ এবং ৫ মে। ফল প্রকাশ হবে ৮ মে। মে দিবসে ভোট হওয়ায় অনেকে বিস্মিত। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, মে দিবসে ভোট হবে না, এমন কথা কোথাও বলা নেই। পরের দিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তবে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে শাসক-বিরোধী কর্মীদের চাঙা করতে ময়দানে চলছে জোর আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
ভিএস/এএ