এই মামলায় অন্য চার অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম এবং সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এর আগে সালমানের ২ বছরের সাজা হয়েছে বলে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৯৮ সালের ১ এবং ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় আলাদা জায়গায় দুটি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন সালমান খান। সেসময় তার সঙ্গে সাইফ আলি খান, নীলম, টাবু এবং সোনালি বেন্দ্রে ছিলেন।
রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, গুলির শব্দ শুনে তারা সালমানদের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। কিন্তু তাদের ধরা যায়নি। সেসময় চালকের আসনে ছিলেন স্বয়ং সালমান। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে তারা পালিয়ে যান বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা।
হরিণ শিকারের অভিযোগে সালমানের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে মামলা করা হয়।
মামলাটির চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিলো ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের ২৪ মার্চ দুই পক্ষের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শেষ হয়। এরপর ৫ এপ্রিল চূড়ান্ত রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন যোধপুর আদালত। এদিন সালমান খান ও অন্য অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে রায় দেন প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খাতরি।
২০০৭ সালে যোধপুর জেলে কয়েকদিন ছিলেন সল্লু। তারপর জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত বছর এই মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন সালমান। কিন্তু পরবর্তীতে এই রায়ের ওপর আবারও আপিল করা হয়।
বলিউড সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সালমানের উপর এক হাজার কোটিরও বেশি লগ্নি রয়েছে। মামলার রায় ঘোযণার একদিন আগে অর্থাৎ বুধবার (৪ এপ্রিল) যোধপুর পৌঁছান সালমান, টাবু এবং সাইফ আলি খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
ভিএস/আরআর