এবার চালু হয়েছে মমতার ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প। প্রকল্পের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, বছরে দেড় লাখ টাকার কম আয়, এমন পরিবারের ১৮ উত্তীর্ণ মেয়ের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার রুপি অর্থসাহায্যে দেওয়া হবে।
পঞ্চায়েতসহ অন্যান্য জেলায় এই কাজ স্থানীয় বিডিও এবং এসডিও কার্যালয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পৌর কমিশনার।
এবার পৌর কমিশনের নেতৃত্বে পৌরসভার ‘সোশ্যাল সেক্টর বিভাগ’ ই –এর তত্বাবধায়নে ‘রূপশ্রী’র প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে থাকবে।
পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র যুক্ত করে জমা দিলে পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা এবং পাঁচজন প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জমা করা তথ্য যাচাই করা হবে। তারপর কেন্দ্রীয় পৌরভবন থেকে টাকা পাওয়ার অনুমোদন পাওয়া যাবে।
বিয়ের পাঁচদিন আগেও আবেদন করলে কলকাতার পৌর এলাকায় ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে। সবে প্রকল্পটি শুরু হয়েছে বলে পাঁচ দিনের মধ্যে সময়সীমা রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে কমপক্ষে বিয়ের ৩০ দিন আগে আবেদন করার নিয়ম চালু করা হবে। সর্বোচ্চ সময়সীমা করা হবে ৬০ দিন।
রাজ্যের শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন করলে চটজলদি প্রাসঙ্গিক কয়েকটি তথ্য যাচাই করে এখন প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। এখন পাঁচ দিনের মধ্যে যেভাবে টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে, তাতে করে দাবিদাররা ছাড়াও অনেকে সুযোগের অপব্যবহার করতে পারেন।
তবে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ছাত্রীসংখ্যা হিসাব করে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা সম্পর্কে আগাম আন্দাজ করা গেলেও ‘রূপশ্রী’র ক্ষেত্রে এখনই কোনও আন্দাজ পাওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান শশী পাঁজা।
১ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প। গত ১০ দিনে ওই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আবেদন। তার মধ্যে প্রায় ৯০০ জনের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এসএস/জিপি/