গত কয়েক বছরের মধ্যে এবছর এই সংখ্যা সবচেয়ে কম। এমনই করুণ দশার কথা জানিয়েছেন কলকাতার নিটে প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকরা।
তারা জানিয়েছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলাতে সব বিষয়ে পড়লেও ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা কোনভাবেই বাংলায় দিতে চাইছেন না শিক্ষার্থীরা। অথচ গতবছরও পশ্চিমবঙ্গ থেকে পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ বাংলা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছিল।
গত বছর সমগ্র ভারতে ১১ লাখের বেশি নিট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ হাজারের মতো পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী বাংলায় নিট দিয়েছিলেন। এবছর এই সংখ্যা পাঁচ হাজারও অতিক্রম করবে কিনা এমনই সন্দেহ প্রকাশ করছেন নিট প্রস্তুতিতে যুক্ত বড় বড় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা (শিক্ষক) ডা. দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, আমিও বাংলা মাধ্যমের ছাত্র ছিলাম। জয়েন্ট পাস করে ডাক্তারিতে আসি। দাদুর নির্দেশে ইংরেজিতে পরীক্ষা ও পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। এখন আফসোস দূরের কথা, বরং উচিৎ সিদ্ধান্ত মনে হয়। কারণ পরে তো সবই ইংরেজিতে পড়তে হয়েছে।
এতে বাংলা ভাষা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে দেবাশিস জানান, কিছু করার নেই। এমবিবিএস-এ এই সব শিক্ষার্থীরা তো আর বাংলায় পড়বেন না। বইপত্রও বাংলায় লেখা না। নির্মম হলেও বাস্তবিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হবে।
থাইল্যান্ড, ভুটান বা অন্য রাষ্ট্রে নিজের ভাষাতেই ডাক্তারি পড়ে রীতিমত প্র্যাকটিস চলছে। কোনো অংশে তাদের রোগীর সংখ্যা কম নয়। তাহলে ভারতে হবে কেন-এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি নিট প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
আরআর