তাই এভাবেই মন্তব্য করছিলেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার ভবানীপুরে অবস্থিত এই নেতাজী ভবন।
ছাত্রাবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাড়ি থেকে নেতাজীর ডাকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। নেতাজীর বাড়ি পরিদর্শন করলেন বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অখণ্ড ভারতে নেতাজী নেতৃত্ব না দিলে স্বাধীন হতো না। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হবার পর আর এক স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু হয়। তৈরি হয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এখন আমরা কাজ করে চলেছি। আর আমার বাবার অন্যতম নায়ক তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার স্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর’ তুলে দেন নেতাজীর পরিবারের সদস্য ও ভারতের সংসদ সদস্য (এমপি) সুগত বসু। বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর; যা জন্মদিনে নেতাজীকে পাঠিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় নেতাজীর অবিভক্ত সোনার বাংলা নিয়ে কবিতা। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী তুলে দেন বাংলাদেশের জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।
পরে সুগত বসু জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো ভবনটি ঘুরে দেখেন। তিনি অভিভূত। তিনি বলেছেন, এখানে না এলে অনেক কিছু জানতে পারতাম না!
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল এই নেতাজী ভবনকে ঘিরে। কলকাতায় নেতাজী সুভাষ বসুর এই বাড়িটি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পরিকল্পনার সাক্ষী।
সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগ হয়েছিল তারও আগে। ১৯৪০ সাল নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ডাকে ‘ব্ল্যাক হোল’ আন্দোলনে সামিল হন বঙ্গবন্ধু। এখানেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নেতাজীর প্রথম সরাসরি পরিচয় হয়।
১৯০৯ সালে এই বাড়ি নির্মাণ করেন সুভাষ চন্দ্র বসুর বাবা জানকীনাথ বসু। ১৯৪১ সালে এই বাড়িতে তাকে গৃহবন্দী করে রাখে ব্রিটিশ সরকার। ওই সময় এখান থেকেই তার অন্তর্ধান ঘটে। বর্তমানে এই ভবনটি নেতাজী মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। এখান থেকেই পরিচালিত হয় নেতাজী রিসার্চ ব্যুরোর কাজ-কর্ম।
জানা যায়, একদা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) ও জওহরলাল নেহেরু এই ভবন পরিদর্শনে এসেছিলেন। এবার বাংলাদেশ থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই ভবন প্রাঙ্গণে পা রাখলেন বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
ভিএস/এমএ