ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পণ্যবাহী রেলের পর এবার জাহাজ নির্মাণে সমঝোতা

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৮
পণ্যবাহী রেলের পর এবার জাহাজ নির্মাণে সমঝোতা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ‍দুই দেশের অতিথিরা

কলকাতা:  আকাশপথ, স্থলপথ ও জলপথের পর এবার একসঙ্গে জাহাজ নির্মাণে সমঝোতা চুক্তি (এমইউ) হলো বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। কয়েক মাস আগে প্রথম পণ্যবাহী রেলপথের চুক্তি হয়।

বুধবার (০৬ জুন) বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যৌথভাবে জাহাজ নির্মাণের জন্য সমঝোতা চুক্তিটি হয় কলকাতার রাজ্যের পরিবহন ক্লাবে।
 
বাংলাদেশের ‘ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইর্য়াড লিমিটেড’ও পশ্চিমবঙ্গের ‘দ্য শালিমার ওয়ার্কস’এর মধ্যে চুক্তিটি হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল ও শালিমার ওয়ার্কসের তরফে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোমদেব চ্যাটার্জির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল।
 
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পক্ষে ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়সহ ১৫ জনের দল। কলকাতার উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
চুক্তিশেষে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছি শালিমারের সঙ্গে চুক্তি করতে। যৌথভাবে আমরা যে কাজটা করলাম এতে দুই দেশ তথা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন আরোও দৃঢ় হলো। বিশেষ করে জাহাজ নির্মাণ শিল্পটাকে আরও গতিশীল করার জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে আমরা মোট ১৪২টি জাহাজ নির্মাণ করেছি। এছাড়া মোট ১১টি দেশে ৩১টি জাহাজ রপ্তানি করেছি। চলতি বছরে হাইটেক জাহাজ বানিয়ে কেনিয়া ও ভারতে রপ্তানি করেছি।
 
সোমদেব চ্যাটার্জি বলেন, আমাদের হাইটেক টেকনোলজি ও শালিমারের শ্রম দুই মিলে নতুন পথ বেছে নেওয়া হলো। এর ফলে এখান থেকে বিদেশেও আমরা জাহাজের বড় মার্কেট আরও বিস্তৃত করতে পারবো। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। প্রথম চুক্তিতেই আমরা ৬০টি জাহাজ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছি। আগামী দশ বছরের মধ্যে এই চুক্তি আরও লাভজনক জায়গায় দাঁড়াবে।
 
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী একান্তে বাংলানিউজকে বলেন,  রমজানের মধ্যে আমাদের কাছে এটি একটি খুশির খবর। শালিমারের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব আসার পর ভারত সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তরের সম্মতির সমঝোতা চুক্তিটি হয়। শালিমার বর্তমানে ভারতের নেভির কিছুর কাজ করে এবং মেরিন শিপইয়ার্ড জাহাজ বানাতে পারদর্শী। ফলে জলপথে জলযানে দুই বাংলা লাভজনক হবে।
 
আমি মনে করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। এই দৃঢ়তা আরও দীর্ঘায়ু হোক সে দিকে আমাদের সরকার যথেষ্ট সহনাভূতিশীল। দুই বাংলার মধ্যে দু’একটি সমস্যা আছে, সেগুলোও আগামী ঠিক হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা,  জুন ০৬, ২০১৮
ভিএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।