রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আরবিআই জানিয়েছে, নতুন এই ১শ’ রুপি নোটের দৈর্ঘ্য ১৪২ মিলিমিটার ও প্রস্থ ৬৬ মিলিমিটার।
নতুন রংয়ের ১শ’ রুপির নোটের সামনের দিকে গান্ধীজির ছবির কোনও বদল হচ্ছে না। থাকছে আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের স্বাক্ষর। আর উল্টো দিকে থাকছে গুজরাতের স্থাপত্যকীর্তির নিদর্শন ‘রানি কি ভাও’। এর পাশাপাশি থাকছে ‘স্বচ্ছ ভারতে’র লোগো ও স্লোগান।
তবে অন্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে এই নতুন ১শ’ রুপির নোটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক নিশ্চিতভাবেই ‘রানি কি ভাও’ অর্থাৎ রানির গুরুত্ব নামে একটি স্থাপত্যের চিত্র। যেটি গুজরাতের পাটন জেলায় সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি আসলে সিঁড়িবেষ্টিত এক জলাধার।
একাদশ শতাব্দীতে চালুক্য সাম্রাজ্যের সময় তৈরি হয়েছিল অনন্য এই স্থাপত্যকীর্তিটি। সাত স্তরের সিঁড়িবেষ্টিত এই জলাধারটি নির্মাণ করেন রানি উদয়মতী। সেখানে রয়েছে কয়েকশ ভাস্কর্যের নিদর্শন। স্থাপত্যতে ‘রানি কি ভাও’-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৪ মিটার, প্রস্থ ২০ মিটার। জলাশয়টির গভীরতা ২৭ মিটার।
২০১৪ সালের ২২ জুন গুজরাতের এই ‘রানি কি ভাও’-কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যের সেই অনন্য স্থাপত্যর্কীতির নিদর্শন স্থান পেয়েছে নতুন রংয়ের ১শ’ রুপির নোটে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ২০ জুলাই, ২০১৮
ভিএস/আরআর