একটি হলো- কালী পুজোর দিনগুলোয় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। সেই সব ভক্তদের ভোগ খাওয়ার সুবিধা করে দিতে একটি আধুনিক ভোগগৃহ তৈরি করা হচ্ছে দক্ষিণেশ্বরে।
আরেকটি- চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অত্যাধুনিক এই স্কাইওয়াক তৈরি হয়ে গেলে যারা গাড়ি নিয়ে মন্দিরে যাবেন, তাদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি সুবিধা হবে যারা হেঁটে যাবেন, তাদেরও। স্কাইওয়াক ধরে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। এছাড়া থাকছে এসকালেটরের মাধ্যমে ওঠা-নামার ব্যবস্থা। এর জন্য খরচ হচ্ছে ৬৫ কোটি রুপি।
এই স্কাইওয়াক তৈরির জন্য বেশ কিছু দোকান সরাতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। দোকান সরাবার বিষয়ে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, বড়বাজারে বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর যে কোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘সেফটি সার্টিফিকেট’ জরুরি। নিরাপত্তার কথা ভেবেই দোকানগুলো সরাতে হয়েছে। তবে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।
স্কাইওয়াক ও ভোগগৃহ ছাড়াও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুণ্যার্থীরা পাবেন আরও কিছু উন্নয়নমূলক পরিষেবা। এছাড়া শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব যে বাগানে বসে ধ্যান করতেন সেই পঞ্চবটি বা পঞ্চমন্দিরের সামনের অংশেরও হচ্ছে সৌন্দর্যায়ন। সেইসঙ্গে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের গেস্ট হাউস। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।
মূল মন্দির এবং লাগোয়া মন্দিরগুলোকে একই রকম রেখে গোটা এলাকার চেহারা বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মন্দির কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দেশি-বিদেশি ভক্তদের কথা ভেবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে কালী পুজোর আগেই নতুনত্ব আসছে এ মন্দিরের, সরকারি সূত্র থেকে এমনই জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
ভিএস/টিএ