সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির স্পষ্ট নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বুঝে কথা বলুন এবং আগামীদিনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন। তৃণমূলনেত্রী সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে ‘দিদি’ সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই এনআরসি’র তালিকা প্রকাশ হওয়ার দিন এক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালু করা হবে। বাংলাদেশিদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়াব। যারা সমর্থন করবেন, তাদেরও তাড়াব।
এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় সভাপতির স্পষ্ট নির্দেশ, এনআরসি প্রসঙ্গে ‘হিন্দু-মুসলমান’ কথাটা আনা যাবে না। সাধারণ মানুষকে এনআরসি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর ধারণাটা রাজ্যবাসীকে আরও ভালোভাবে বোঝাতে হবে।
এনআরসি বিষয়ক বই, লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদি বিতরণ এবং জেলায় জেলায় আলোচনা সভা করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আগামী ১১ আগস্ট কলকাতায় সভা করবেন অমিত শাহ।
এনআরসি বিষয়ে শুক্রবার (৩ আগস্ট) ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সাধারণ মানুষ বিষয়টা নিয়ে অহেতুক ভয় পাচ্ছেন। এটা কেবল একটি খসড়া, চূড়ান্ত তালিকা নয়। এখানে কোনো বৈষম্যের জায়গা নেই। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে এবং পরে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। কারও ওপর কোনো জবরদস্তি করা হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উপযুক্ত ভারতীয় প্রমাণপত্র দেখাতে পারলে কারো নামই এনআরসি থেকে বাদ যাবে না। নিরপেক্ষভাবে সম্পূর্ণ কাজটি করা হবে। বিরোধী দলগুলো পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
ভিএস/এনএইচটি