যতো বেশি লোক ভালো চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ভারতে আসবেন, ততোই তাদের রাজকোষ ফুলে-ফেঁপে উঠবে। এটাই তাদের সন্তোষের কারণ।
দেশটির কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে (২০১৭) মোট দুই লাখ ২১ হাজার ৭৫১ জন বাংলাদেশি চিকিৎসার কারণে ভারতে এসেছিলেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ইউপিএ অর্থাৎ কংগ্রেস সরকার আমলে চিকিৎসার জন্য যতো বাংলাদেশি ভারতে আসতেন, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যাক বাংলাদেশি ভারতে পা রাখেন সুস্থতার খোঁজে।
শুধু বাংলাদেশি কেনো, একইভাবে গত বছরের বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসার জন্য আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন ৫৫ হাজার ৬৮১ জন রোগী। তারপরেই আছে ইরাকের স্থান। ওই দেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ৪৭ হাজার ৬৪০ জন। এরপরেই আছে ওমান। এদেশ থেকে ২০১৭-তে ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ২৮ হাজার ১৫৭ জন।
এছাড়া পরিসংখ্যা আরও বলছে, মালদ্বীপ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। গত বছরে মালদ্বীপ থেকে ভারতে এসেছিলেন ৪৫ হাজার মানুষ। তার আগের বছরে সংখ্যাটি ছিল ১০ হাজারে।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে ভারতে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য সাধারণ নাগরিক আসা যখন বেড়েই চলেছে, তখন পাকিস্তানিদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। গত বছরে যেখানে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন এক হাজার ৭৮৫, সেখানে ২০১৬-তে পাকিস্তানির সংখ্যাটি ছিল তিন হাজার ৯৫৫ জন।
ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক সূত্র বলছে, মেডিকেল পর্যটন বা মেডিকেল ট্যুরিজমের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে চলতি বছর বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতে ভারতের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থার গুণাগুণ জানানো শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই কাজে প্রথমেই বেছে নেওয়া হয়েছে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে। আর সার্কের মধ্যে যেহেতু বাংলাদেশি পর্যটক সব থেকে বেশি ভারতে আসছেন, সে কারণে সবার আগে বাংলাদেশে কীভাবে ভারতের চিকিৎসা পরিষেবার বিষয়ে আরও বেশি জানানো যায় সেজন্য বড় ধরনের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক।
পরিকল্পনার মধ্যে আপাতত স্থির করা হয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ মেডিকেল সেমিনার। এছাড়া টুরিস্টদের জন্য থাকবে বিশেষ ধরনের মেডিকেল হেল্প ডেস্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
ভিএস/টিএ