জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী ও গবেষক কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের স্মৃতির প্রতি সাইকেলযাত্রা উৎসর্গ করে এরই মধ্যে রওয়ানা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শোভন কান্তি চট্টোপাধ্যায়, জহরলাল মন্ডল, শংকর খাড়া, চন্দ্রকান্ত সামন্ত ও কৃষ্ণেন্দু বেরা।
কলকাতার উপ-হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দীর্ঘপথ অতিক্রম করে ১১ আগস্ট সকাল ৯টায় এই সাইকেলে যাত্রা এসে পৌঁছাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সেখানে তারা বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করবেন বাংলাদেশ সীমান্তে।
এরপর বেনাপোল, যশোর অতিক্রম করে ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের জাতির পিতা প্রবাদপ্রতিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিনে অর্থাৎ জাতীয় শোক দিবসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এরপর এই পাঁচ সাইক্লিস্ট ফের যাত্রা শুরু করে মাওয়া হয়ে ১৮ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর কথা। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। সেই আন্দোলনের ভীত গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গরিমাময় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি স্পর্শ করে সংহতি যাত্রা শেষ হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৯ আগষ্ট) সাইকেলের এই সংহতি যাত্রা কলকাতা জেলায় প্রবেশ করে। কলকাতায় প্রবেশ করে পাঁচজন সাইকেল আরোহী দেখা করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেখানে পারস্পারিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর যশোর রোড ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রওনা দেন তারা।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব (কন্স্যুলার) শেখ সাফিন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার দিঘা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সাইকেল যাত্রা করছে। এই সার্বিক যাত্রার সাফল্য কামনা করি। সেই সঙ্গে তাদের সংগঠন ভাষা ও সংস্কৃতির সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
ভিএস/এমএ