বুধবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করেছে।
উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে উপ-হাইকমিশনের কন্স্যুলার ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন, কন্স্যুলার (ক্রীড়া ও শিক্ষা) শেখ শফিউল ইমাম, কন্স্যুলার মনসুর আহমেদ এবং প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) বেকার হোস্টেলে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে’ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তপক অর্পণ করেন। পরে জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শোকের মাস উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন আগামী ১৬ আগস্ট বিকেলে কলকাতায় রেজা আলি ওয়াশাথ হল, মওলানা আজাদ কলেজে (সাবেক ইসলামিয়া কলেজ) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এ আলোচনায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪২ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়ে ধর্মতলা স্ট্রিটের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৮
ভিএস/এএ