ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কর্মর্তারা তদন্ত করে দেখেন, যে ফার্মহাউস থেকে মণীশের মরদেহ উদ্ধার হয় সেখানের দেয়ালে নানা রকমের অদ্ভুত চিহ্ন, কিছু অসংলগ্ন লেখা। সেখানে লাল রঙে একটি হার্ট সিম্বলও আঁকা ছিল।
গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি ফার্ম হাউসে গিয়ে আত্মহত্যা করে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র।
সার্কির মা চন্দ্রমায়া দেবী বলেন, রাতে ছেলে বাড়ি ফিরে আসেনি দেখে খোঁজ শুরু হয়। ও দিনভর মোবাইল গেমে ডুবে থাকতো। মোমো গেমই আমার ছেলেকে কেড়ে নিলো।
এর আগে জলপাইগুড়ি জেলার এক কলেজছাত্রী মোমো গেমের ট্রাপে পড়েন। তিনি অবশ্য বিষয়টি পুলিশে জানান। অন্যদিকে মেদিনীপুরের দাসপুরে এক স্কুলছাত্রও মোমো খেলায় মেতে ওঠে। একের পর এক ঘটনা সামনে আসায় রাজ্য পুলিশও এখন বাড়তি সতর্ক।
আইজি আনন্দকুমার জানান, অনলাইন সুইসাইড গেম নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। কার্শিয়াংয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়িতেও একজনকে টোপ দেওয়া হয়েছিল। সিআইডি ও গোয়েন্দা বিভাগকে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোয় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা চলছে। সিআইডি সাইবার সেল ঘটনাগুলোর তদন্ত করছে এবং যে কজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এই সুইসাইডাল গেমে আসক্ত হয়েছে তাদের কাউন্সেলিং চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
ভিএস/এএ