সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন তদন্তের বিষয়টি জানতে চায়। মূলত এরপরই ঘটনাটি আবারও সামনে আসে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, গত ২২ জানুয়ারি সকালে কলকাতা-ঢাকা চলন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে।
এরপর বিএসএফের অভিযুক্ত জওয়ান বিরান্না ভাবেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিএসএফ। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে শিয়ালদহ বিভাগের রেল পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পাশাপাশি ঘটনাটি নিজেদের মতো করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গেদে-দর্শনা জিরো পয়েন্টে ভুক্তভোগী ওই নারী যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বিএসএফ কর্তারা। এ সময় বিজিবি ও বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিতি ছিলেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২২ জানুয়ারি সকালে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরার শৌচাগারে ওই নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী জানান, উল্টোডাঙা থেকে ব্যারাকপুরের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে গত ২৩ এপ্রিল অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানেরও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তকারীরাদের একজন বলেন, অভিযুক্ত জওয়ান শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার বয়ানে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। বিষয়টি আমরা অধিকতর তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে সূত্র আরও জানায়, পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারপোলের প্রতিনিধির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে সেখানকার আদালতের কাছে বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা চেয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
সে অনুযায়ী, বাংলাদেশের আদালত অভিযোগকারীর বক্তব্য ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে একই পদ্ধতিতে সিল বন্ধ খামে শিয়ালদহ আদালতে পাঠানোর কথা। এরপর শিয়ালদহ আদালত তা তুলে দেবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রেল পুলিশ সূত্র বলছে, ওই প্রক্রিয়ায় পাঠানো খামটি বাংলাদেশ থেকে ফেরত এসেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাঠানো নথির মধ্যে তারিখ সংক্রান্ত একটি ভুল ছিলো। সেখানে এক জায়গায় ঘটনার তারিখ ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি লেখা হয়েছে। তবে অন্য সব জায়গায় সঠিক তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। ফিরতি চিঠিতে, কোন তারিখটি সঠিক তা বাংলাদেশ জানতে চেয়েছে।
রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, টাইপ করতে গিয়ে কোনোভাবে এই ভুলটা হয়েছে। ভুল সংশোধন করে শিগগির নতুন করে বাংলাদেশে পাঠানো হবে এবং তদন্ত কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
ভিএস/এমএ