মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ফ্লাইওভারটি ভেঙে পড়ে।
এদিকে, ফ্লাইওভারটির নিচ দিয়ে চলাচল করতো শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়ার সময় ফ্লাইওভার দিয়ে বেশকিছু যানবাহন চলাচল করছিল। এছাড়া অনেক যানবাহন ফ্লাইওভারের নিচে পড়েছেও। তাতে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন জানিয়েছে, ফ্লাইওভার ভেঙে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় বেসরকারিভাবে আরও বেশি হতাহতের খবর শোনা যাচ্ছে।
ফ্লাইওভারের নিচে বেশ কিছু মানুষ আটকে আছেন। তাদের মধ্যে অনেক জীবিত আছেন বলে উদ্ধারকারীরা জানতে পেরেছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে দমকল, ভারতীয় সেনাবাহিনী, কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ।
উদ্ধার কাজের পরিস্থিতি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। আর পশ্চিমবঙ্গ পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে এই ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছিল। যা প্রায় ছয়মাস আগে মেরামত করা হয়। এই ব্রিজের নিচে রয়েছে রেললাইন। সেইসঙ্গে কলকাতা বন্দর থেকে প্রতিদিন বহু পণ্যবাহী গাড়ি এই ফ্লাইওভার দিয়ে আসা যাওয়া করে।
ফ্লাইওভারটি ভেঙে পড়ার যে প্রাথমিক কারণগুলো রয়েছে, তার মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব অন্যতম। সঙ্গে কারণ হিসেবে উঠে আসছে এই ফ্লাইওভারের পাশে চলতে থাকা মেট্রোরেলের কাজও।
পশ্চিমবঙ্গ পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের চলমান কাজের জন্য এই ফ্লাইওভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে দার্জিলিং সফর করছেন। বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) তিনি কলকাতা ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে বড়বাজারের বিবেকান্দ ফ্লাইওভারটি নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙে পড়েছিল। সেসময় শতাধিক মানুষ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮/আপডেট ২১১৮ ঘণ্টা
ভিএস/টিএ