শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঝলমলে রোদ থাকায় শিল্পীদের মনেও খুশি ছিল। বেশ কিছু পূজা কমিটির কর্তা-ব্যক্তিরা এসে বায়নাও চূড়ান্ত করে গিয়েছিলেন।
রোববারের বৃষ্টিভেজা দুপুরে উত্তর কলকাতার পটুপাড়া কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিল্পীর ঘরে কাজ প্রায় বন্ধ। নেই পূজা আয়োজকদের আনাগোনা। প্রতিমায় কাঁচামাটির প্রলেপের কাজ শেষ। এগুলো শুকালে সাদা রং করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ার জন্য প্রতিমা শুকাতে কতদিন লাগবে, সেটাই বুঝতে পারছেন না তারা।
শিল্পী বিশ্বনাথ পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘জায়গার অভাবে প্রতিবারই বেশ কিছু অর্ডার ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু যে কটা বানাচ্ছি, তা রাখারই জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তার এক পাশে ত্রিপল দিয়ে কয়েকটি প্রতিমা রাখতে হয়েছে। এরকম স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া চললে প্রতিমার কোনও কাজই করা সম্ভব না। ’
আরেক শিল্পী রুদ্রজিৎ পাল বলেন, ‘একটা গোটা দিন রোদ থাকলে যতটা কাজ করা যায়, এরকম মেঘলা পরিবেশ থাকলে তা সম্ভব হয় না। ফলে কড়া রোদ আমাদের জন্য খুব জরুরি। ’
তবে এরকম সমস্যা বা নিম্নচাপের ভ্রুকুটি সামলেই প্রতিবছর কাজ করতে হয় মৃৎশিল্পীদের, সে কথা মনে করিয়ে দিলেন কলকাতার বিখ্যাত প্রতিমা শিল্পী চিন্তামণি পাল। তার কথায়, ‘প্রধান কাজগুলো আমাদের ঘোর বর্ষার মধ্যেই করতে হয়। এসব ভাবলে চলবে না। কয়েকবছর ধরে মহালয়ার দিনেই বেশিরভাগ প্রতিমা মণ্ডপমুখো হয়। ফলে সবটা মাথায় রেখে আমাদের সেই সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। ’
বৈশাখ মাস থেকেই কাঠের পাটাতনের উপর বাঁশের কাঠামো বানানো শুরু হয়। তার উপর খড় দিয়ে বেধে প্রতিমার আদল দেওয়া হয়। এরপর চলে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ। এখন সেই প্রলেপ শুকালেই পরবর্তি কাজ শুরু।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
ভিএস/পিএম/জিপি