ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার মোহরকুঞ্জে ‘৮ম বাংলাদেশ বইমেলা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
কলকাতার মোহরকুঞ্জে ‘৮ম বাংলাদেশ বইমেলা’ কলকাতায় বইমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

কলকাতা: কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে (রবীন্দ্রসদনের পশ্চিমে) ৮ম বারের মত শুরু হতে চলেছে বাংলাদেশ বইমেলা। ০২ নভেম্বর (শুক্রবার)বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ বইমেলা হতে যাচ্ছে।  থাকছে ২৫ হাজার শিরোনামে ৬৯টি প্রকাশনা।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভা মেয়র পারিষদ শ্রী দেবাশিস কুমার, লেখক, গবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক শ্রী ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।

শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ধন্যবাদ জানাবেন, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক।  

১০দিনব্যাপী এ বইমেলা চলবে স্থানীয় সময় প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, শনি ও রোববার দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।  শেষ হবে ১১ নভেম্বর।

দশ দিনব্যাপী বইমেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে উপস্থিত থাকবেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র-বাংলাদেশ), অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন, কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কবি কামাল চৌধুরী, কবি মারুফুল ইসলাম, কবি তুষার দাশ, ছড়াকার আসলাম সানী ও স. ম. শামসুল আলম, কবি তারিক সুজাত, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, আমীরুল ইসলাম ও তুষার আবদুল্লাহ এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত প্রমুখ।

পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী ও কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন পবিত্র সরকার, সমরেশ মজুমদার, ড. ইমানুল হক, পবিত্র মুখোপাধ্যায়, মৃণাল বসুচৌধুরী, দীপ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক অশোকেন্দু সেনগুপ্ত, ড. রাজ্যেশ্বর সিনহা, দেবাশিস ভট্টাচার্য, আশিস চট্টোপাধ্যায়, অমল সরকার, ড. স্বপন বসু, জাতীয় অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায়, সুবেন্দু রঞ্জন প্রমুখ।
এ বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পীরা। গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম ও তানজিনা তমা, শিল্পী অনিমা রায়, নাহিদ নাজিয়া।

এ ছাড়া, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশেষ পরিবেশনা করবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীরা। আরও থাকবে কাটোয়া সুদপুর বান্ধব সমিতি কর্তৃক রণপা নৃত্য পরিবেশনা।

কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলাদেশের লেখকদের বই সহজে এবং সুলভ মূল্যে কিনতে ও পড়তে পারে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও যেন উপভোগ করার সুযোগ পায়।
এমনই জানালেন উপ দূতাবাসের এক সংবাদ সম্মেলনে। যেখানে বুধবার (৩১ অক্টোবর) উপস্থিত ছিলেন, উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবাল এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
ভিএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।