চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদারের পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
মঙ্গলবার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, চীনের সহযোগিতায় রাশিয়ার অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও অর্থনীতি। রাশিয়ার শীর্ষ বৈদেশিক বাণিজ্যিক অংশীদার হলো চীন।
দুই দেশে অর্থ, পরিবহন ও লজিস্টিকস খাতে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করবে। জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস বাণিজ্যও বাড়ছে দুই দেশের। চলতি বছর চীনে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া।
পুতিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়া ও চীন পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। চীনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করছে রাশিয়া।
পুতিন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ‘পারমাণবিক উপাদান’ সমৃদ্ধ অস্ত্র মোতায়েন করছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য যদি ইউক্রেনকে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামসহ গোলাবারুদ পাঠায়, তাহলে রাশিয়া প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে।
পুতিনের পর সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান শি জিনপিং। মস্কোয় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সময় কাটানো এবং রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য খুব খুশি হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেছেন, দুই নেতা একে অপরকে দশ বছরের বেশি সময় ধরে সমর্থন করে যাচ্ছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের আলোচনা হয়েছে খোলামেলা, অবাধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।
গেল মাসে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে চীনের দেওয়া ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে নিয়ে শি জিনপিং বলেন, চীন নিজের অবস্থান প্রকাশ করেছে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমরা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে জাতিসংঘের সনদ মেনে চলছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
আরএইচ