২০০৮ সালে ইরানে সন্ত্রাসী হামলার দায়ে দ্বৈত নাগরিক জামশিদ শারমাহদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন তেহরানের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ইরানের সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইরানের একটি আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এ রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বিবৃতিতে ইইউ পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করে শারমাহদের সাজা বাতিল ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ইইউ আরও বলেছে, মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তির প্রতি একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিঅনুসরণ করে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়মগুলো ইরানের কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত৷ সে সঙ্গে ভিয়েনা কনভেনশনের কথাও ইরানকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়৷
শারমাহদের মেয়ে গাজেল শারমাহদ বলেন, আমাকে আইনজীবী পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি৷ এমনকি আমার বাবার সঙ্গে কাউকে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ আমার বাবা পার্কিনসন রোগ আক্রান্ত, প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ কয়েক বছর ধরে আমি বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারছি না৷
২০২০ সাল থেকে শারমাহদ কারাগারে বন্দি৷ পরিবারের সদস্য, মানবাধিকারকর্মী ও জার্মান রাজনীতিবিদদের একটি অংশ এ বিচারের সমালোচনা করেছেন৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন তারা৷
২০২০ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শারমাহদ কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন৷ শারমাহদের পরিবারের অভিযোগ, দুবাইতে একটি যাত্রাবিরতির সময়ে ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে এখতিয়াবহর্ভূতভাবে অপহরণ করেন৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টোন্ডার নামে একটি দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শারমাহদ৷ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আমেরিকা ভিত্তিক একটি ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর' নেতা যারা ইরানে নাশকতা চালায়৷ তারা ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবকে ব্যর্থ করে আবার পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনে রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায় বলে অভিযোগ তেহরানের৷
ইরানের বিচার বিভাগ ২০০৮ সালে শিরাজ শহরের একটি মসজিদে হামলার জন্য ওই গোষ্ঠীটিকে দায়ী করে। এই ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
জেএইচ