কাজাখস্তানের আকতাউয়ে রাশিয়াগামী যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহতের ঘটনায় ‘অনুমাননির্ভর তথ্য’ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। খবর বিবিসির।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কয়েকজন উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ ধারণা করেছেন, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের আকাশে কোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রী-ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে।
মস্কোয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তদন্তের ফলাফলের আগে কোনো তত্ত্ব উপস্থাপন করা ভুল হবে। অবশ্যই, আমরা এটি করবো না, এবং কারো এটি করা উচিত নয়। আমাদের তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এমব্রায়ার ১৯০ মডেলের উড়োজাহাজটি বুধবার সকালে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে যাত্রা শুরু করে। গন্তব্য ছিল চেচনিয়ার গ্রোজনি। এয়ারলাইনটি জানায়, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজটি পথ পরিবর্তন করে।
একজন বেঁচে যাওয়া যাত্রী রুশ টিভিকে বলেছিলেন, তার বিশ্বাস পাইলট গ্রোজনির ওপর ঘন কুয়াশায় দুবার অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন, তারপর তৃতীয়বার, কিছু একটা বিস্ফোরিত হয়েছিল... বিমানটির কিছু অংশ উড়ে গিয়েছিল।
বিমানটি আকতাউ বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হচ্ছিল। ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি রানওয়ের তিন কিলোমিটার আগে দ্রুতগতিতে নামছিল, তারপর অবতরণের সময় তাতে আগুন ধরে যায়।
কাজাখ কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারটি উদ্ধার করেছে এবং তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর রুশ রাষ্ট্রীয় টিভি থেকে প্রতিবেদন আসে যে, সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ ছিল পাখির ঝাঁকের আঘাত।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
আরএইচ