মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মানবিক বিরতি বাড়ানোর বাস্তবসম্মত সুযোগ আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ আছে।
শুক্রবার ম্যাসাচুসেটসে একটি সংবাদ সম্মেলনে গাজায় চারদিনের মানবিক বিরতি বাড়ানোর সম্ভাবনা সম্পর্কে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
এ সময় বাইডেন আশা প্রকাশ করে বলেন, গাজা জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়ায় সবেমাত্র শুরু। শনিবার এবং তার কয়েকদিন পরে আরও জিম্মি মুক্তি পাবে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা আশা করছি কয়েক ডজন জিম্মি তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে। আমরা তাদের সবাইকে স্মরণ করছি এখনও আটকে আছে এবং তাদের মুক্তির জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি। নিখোঁজদের মধ্যে দুই আমেরিকান নারী এবং ৪ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কাতার, মিশর ও ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রাখছি, যাতে চুক্তিটির প্রতিটি দিক বাস্তবায়িত হয় তা নিশ্চিত করতে। পরবর্তী এক ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকা থেকে জিম্মিদের মুক্তির দ্বিতীয় পর্ব সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্ধিত যুদ্ধবিরতি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে ওই অঞ্চলের খাদ্য, ওষুধ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ সহজ হবে। গত মাসে আমার ইসরায়েল সফরের পর থেকে আমি জাতিসংঘ এবং রেডক্রসের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক ইস্যুতে মার্কিন বিশেষ দূত ডেভিড স্যাটারফিল্ডের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার কথা স্মরণ করে বাইডেন বলেন, যাদের প্রয়োজন তাদের সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার এ চক্রের অবসানের জন্য ভবিষ্যতের দিকেও তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সমাধানে আলাদা দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টির ব্যাপারে কাজ করার সময় এসেছে।
এদিকে, চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৪ জন জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েল, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই নারী ও শিশু। ৪টি গাড়িতে করে এসব জিম্মিদের নিয়ে যাওয়া হয় গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে। সেখানে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ)।
সূত্র: এএফপি
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
জেএইচ