ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কার শুরু করছেন ম্যাক্রোঁ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কার শুরু করছেন ম্যাক্রোঁ 

দ্বিতীয় মেয়াদে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং এই গ্রীষ্মে প্যারিস অলিম্পিকের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার সরকারে কাজের গতিতে নতুন প্রেরণা যোগ করতে চান। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার পদত্যাগ করলেন তার দলের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন।

নতুন সরকার গঠনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারে কারা দায়িত্ব পালন করবে তা না জানালেও ম্যাক্রোঁ কার্যালয় জানিয়েছে তারা বিষয়টি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছেন।  

দেশটির পেনশন ব্যবস্থা এবং অভিবাসন আইনের সংস্কারের কারণে উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রক্ষিতে সরকারে পরিবর্তন গুলো আনাহচ্ছে বলে মনে করছে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।  

ম্যাক্রোঁর এই পদক্ষেপ গুলো হয়ত রাজনৈতিক কৌশলে কোনো বড় পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করবে না কিন্তু পেনশন এবং অভিবাসন সংস্কার ছাড়াও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মত নতুন অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কাজ শুরু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।  

পদত্যাগপত্রে বোর্ন জানিয়েছেন, তিনি এবং ম্যাক্রোঁ তাদের শেষ বৈঠকে একমত হয়েছেন এই মুহূর্তে সংস্কারের দিকে এগিয়ে যাওয়া আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।

এবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধিরা আশংকা করছে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসন প্রবাহ রোধে ব্যর্থতা ইউরোপীয় সরকারগুলোকে ব্যাপক জনঅসন্তোষের মোকাবিলা করতে হবে।  

ফ্রান্সে এক জনমত জরিপে দেখা যায় ম্যাক্রোঁর দল নির্বাচনের আগে উগ্র ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেনের চেয়ে প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পয়েন্টে  পিছিয়ে রয়েছে।

ফরাসি পার্লামেন্ট অল্প ব্যবধানে কঠোর অভিবাসন আইন পাস হওয়ার পর থেকে সরকারে রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল যা ম্যাক্রোঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফাটল উন্মোচন করে দিয়েছে। এরপর থেকেই 

ম্যাক্রোঁ রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বোর্নের স্থলাভিষিক্ত হতে যাওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল(৩৪) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু(৩৭)। এদের কেউ একজন ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী জুলিয়েন ডেনরমান্ডি, অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মায়ার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনকেও  সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে গুনায় রাখছেন ফরাসি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ফ্রান্সইনফোকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বেঞ্জামিন মোরেল বলেছেন, এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এমন এক জন একজন তরুণ প্রধানমন্ত্রী চান যার বহুমুখী যোগাযোগ দক্ষতা রয়েছে কারণ তিনি সংসদে বিল পাস করার চেয়ে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।