গাজা সিটির একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত চারজনের মধ্যে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন। ফিলিস্তিনি বিভিন্ন সূত্র এমনটি জানিয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, নিহত ওই ব্যক্তির নাম এহাব আল-গুসেইন। তিন মাস আগে গাজা সিটি ও উত্তর গাজায় হামাস সরকারের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজা সিটিতে একটি স্কুলভবন এলাকায় তারা হামলা চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য, হামাস যোদ্ধারা সেখান থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন এবং সেখানে লুকিয়ে ছিলেন।
তারা বলছে, বেসামরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গাজা সিটির পশ্চিম দিকে হলি ফ্যামিলি গির্জার পাশে হলি ফ্যামিলি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটে। স্কুল ভবনটি বহু লোকের আশ্রয়স্থল ছিল। বিবিসি তা জানতে পেরেছে।
স্কুলের নিচতলার দুটি শ্রেণিকক্ষ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
এহাব আল-গুসেইন হামাস প্রশাসনের সাবেক শ্রমমন্ত্রী। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিলেন।
তার মৃত্যুকে সামরিকভাবে হামাসের জন্য কোনো আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে না। তবে তাকে হামাস প্রশাসনের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে বিবেচনা করা হতো।
গত ৯ মাসে হামাস প্রশাসনের অনেক নেতা নিহত হয়েছেন। গত নভেম্বরে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন উপ-সংস্কৃতিমন্ত্রী ও আইন পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
গাজা সিটির কেন্দ্রীয় অংশ ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বনি আমির এলাকায় স্ত্রী, পাঁচ সন্তান, মা ও বোনকে নিয়ে থাকা ৪৭ বছর বয়সী ইব্রাহিম আল বারবারি বিবিসিকে বলেন, কয়েক ডজন পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নারী ও শিশুরা বস্তা বইছে এবং তারা পশ্চিম দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছি, আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মেসেজ বা কল পাইনি। আমরা আবারও চলে যাওয়ার জন্য জিনিসপত্র একসঙ্গে করছি। আমরা কয়েক মাস ধরে প্রায় দুর্ভিক্ষের মধ্যেই বাস করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
আরএইচ