দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয় জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। ধারণা করা হচ্ছে ২ জন ছাড়া ওই উড়োজাহাজ থাকা সকলেই নিহত হয়েছেন।
সেই উড়োজাহাজের ভেতর থাকা এক যাত্রী দুর্ঘটনার আগমুহূর্তে তার আত্মীয়কে বার্তা পাঠান। যেখানে তিনি লেখেন, ডানায় একটি পাখি আটকে আছে। আমরা অবতরণ করতে পারছি না। এই মুহূর্তে আমি কি (মৃত্যুর আগে) শেষ বার্তা দিয়ে যাব?
সকাল ৯টার দিকে এমন বার্তা দেখতে পেয়ে ওই যাত্রীর আত্মীয় তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কাছ থেকে আর কোনো সাড়া পাননি। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, সেটিও এই আত্মীয় আর জানেন না।
এদিকে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন পুরুষ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে জানতে চাইছেন,
তাকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের মনে হচ্ছে ওই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের দুর্ঘটনার কোনো স্মৃতি মনে করতে পারছেন না।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জানান, শেষ মনে পড়ে অবতরণের আগে আমি সিটবেল্ট বাঁধছিলাম, মনে হচ্ছিল বিমানটি প্রায় অবতরণ করতে যাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, বিমানের পিছনের অংশে যাত্রীদের সেবা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত অ্যাটেনডেন্ট দুর্ঘটনার পরের কোনো ঘটনাই স্মরণ করতে পারছেন না। তার বাম কাঁধ ও মাথায় আঘাত লেগেছে। বেঁচে যাওয়া অন্য একজন মহিলা যাত্রীও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্র: সাউথ কোরিয়া হেরল্ড
আরও পড়ুন: ‘বার্ড স্ট্রাইক’ থেকেই কি দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা?
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
এমএম