গাজায় ১৫ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ বন্ধে হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।
এই আলোচনায় কাতার ছিল প্রধান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে একটি। বিবিসির গাজা প্রতিনিধি রুশদি আবু আলোফ বলেছেন, চুক্তিটি গাজার কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। হামাস প্রায় আড়াইশজনকে জিম্মি করে। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালায়।
ইসরায়েল বলছে, হামাস এখনো ৯৪ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। এর মধ্যে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি জানায়। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের কাছে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি রয়েছে এবং তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর বলছে, চুক্তিতে এখনো কিছু অমীমাংসিত ধারা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিরা সড়কে উদযাপন শুরু করেছেন। অন্যদিকে তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়াটি ব্যাপকভাবে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল– এবং এতে কয়েকটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথম ধাপ হলো প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি। এই সময়কালে, হামাস ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে এটি পরিষ্কার নয় যে, ওই ৩৩ জনের মধ্যে কতজন এখনো জীবিত।
প্রত্যেক জিম্মি মুক্তির বিপরীতে ইসরায়েল কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে পূর্ব দিকের বাফার জোনে স্থানান্তরিত করবে।
গাজায় আরও মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে– এবং গাজার ২০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফেরার জন্য একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
আরএইচ