তারা জানাচ্ছেন, এমন একটি সুদূর ছায়াপথের সন্ধান মিলেছে যার উজ্জ্বলতা আমাদের ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা’র চাইতে ১ হাজার গুণ বেশি। এ ছায়াপথটি আমাদের থেকে ১০ হাজার মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
আনাসতাজিয়ো দিয়াস সানচেস-এর নেতৃত্বে স্পেনের পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি অব কারতাগেনা-র একদল বিজ্ঞানী মাধ্যাকর্ষণ ধারণ শক্তিসম্পন্ন দূরবিনের সাহায্যে এ ছায়াপথটি শনাক্ত করেন। এই দূরবিনের কাচের মাধ্যমে মূল লক্ষ্য বস্তুকে বহুগুণে বড় করে দেখা যায়।
বিজ্ঞানী দিয়াস স্যানচেস বলেন, ধন্যবাদ দিতে হয় মাধ্যাকর্ষণীয় শক্তির কাচটিকে যার মাধ্যমে মূল লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করা গেছে যা আকারে ১১ গুণ বড় ও উজ্জ্বল। এর দ্বারা কেন্দ্রের সবচাইতে ঘন এলাকার ছবি দেখা গেছে যা ‘আইনস্টাইন রিং’ নামে পরিচিত।
সবচাইতে উজ্জ্বল ছায়াপথ খুঁজে বের করার জন্য পুরো মহাকাশজুড়েই গবেষণা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘ওয়াইজ’ এবং ‘প্ল্যাংক’ স্যাটেলাইটের সাহায্যে প্রাপ্ত ডাটাগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
নতুন এ ছায়াপথটি বিপুল সংখ্যক তারকা ধারণ করে থাকে। এতে প্রতিবছর প্রায় ১হাজার সূর্যের সম্মিলিত আকারের সমান আকারের বিপুল সংখ্যক তারকার জন্ম হরেচ্ছ। এ তুলনায় আমাদের ছায়াপথে প্রতিবছর জন্ম নেওয়া তারকার আকার সূর্যের দ্বিগুণ আকারের মাত্র।
স্প্যানিশ ইনস্টিটিউট অব দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকা দে কানারিয়াস’র জ্যোতিপদার্থবিদ সুজানা ইগলেগিয়াস গ্রোথ বলেছেন, ছায়াপথেই উজ্জ্বল তারকার সমাগম ঘটে, এগুলো মহাবিশ্বের চারপাশে তৈরি হয়। আমরা পরবর্তী সময়ে এই ছায়াপথের আণবিক উপাদান নিয়ে গবেষণা করবো।
ছায়াপথের উজ্জ্বলতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাধ্যাকষর্ণের প্রভাবেই ছায়াপথের উজ্জ্বলতা আরো তীব্রতা লাভ করে। আর তার কারণেই এর ভিতরের দৃশ্যপটে প্রবেশ করা সম্ভব হয় বিজ্ঞানীদের। তা না হলে দূরবর্তী এ ছায়াপথের সন্ধান পাওয়া আরো কঠিন হয়ে পড়তো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
জিওয়াই/জেএম