৭ জুলাইয়ের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক ব্রিফ করলেও ঘণ্টাকয়েক পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বৈঠকটি নিয়ে উভয়পক্ষই ‘রাখঢাক’ করায় এটিকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে মার্কিন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।
বৈঠকটির বিষয়ে প্রথমে খবর দেয় মার্কিন রাজনৈতিক ঝুঁকি পরামর্শক গ্রুপ ইউরেশিয়া।
ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়ান ব্রেমার এক চিঠিতে তার মক্কেলদের বলেন, ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তারা ‘একান্ত’ ও ‘প্রাণবন্ত’ আলাপ করেন। কিন্তু সেখানে কোনো মার্কিন দোভাষী বা অপর কোনো কর্মকর্তা না থাকায়ই এ নিয়ে ভ্রুঁ কুঁচকাতে হচ্ছে।
ইউরেশিয়া গ্রুপের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে এই ‘গোপন বৈঠকের’ খবর ফলাও করে প্রচার হতে থাকায় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দ্রুতই বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এটা ‘কোনো দ্বিতীয় বৈঠক’ ছিল না, দুই নেতা ‘সংক্ষিপ্ত আলাপ’ সেরেছেন শুধু।
আর এই বৈঠকটি নিয়ে সরকার ‘লুকোচুরি’ করেছে বলে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তাও ‘মিথ্যা, আক্রোশপূর্ণ ও হাস্যকর’ বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
পরে ট্রাম্প তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটার বার্তায় বলেন, পুতিনের সঙ্গে গোপন নৈশভোজের ভুয়া খবর ‘দুর্বল’। জার্মান চ্যান্সেলরের আমন্ত্রণে সে ভোজে সব জি-২০ জোটের নেতা সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। এটাতো সংবাদমাধ্যম জানেই। ’
গত বছর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। যার জেরে এফবিআই প্রধানসহ অনেক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত পর্যন্ত করেছেন ট্রাম্প। তার বিরোধীরা মনে করেন, পুতিনের হস্তক্ষেপেই ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন। যদিও ট্রাম্প-পুতিন দু’জনেই এ ধরনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আসছেন।
কিন্তু দু’জনের পারস্পরিক ‘বন্দনা’ এবং নির্বাচনী প্রচারণাকালে ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্পপুত্রের গোপন বৈঠকের খবর সম্প্রতি ফাঁসের পর দুই নেতার এই ‘গোপন বৈঠক’র খবর মার্কিন রাজনীতিতে হোয়াইট হাউসকেন্দ্রিক সন্দেহ আরও ঘনীভূত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এইচএ