বুধবার (১৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ভারত-চীন সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। দুই দেশের মধ্যকার সংলাপই হতে পারে সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।
নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে নোয়ার্ট বলেন, দুই দেশের প্রতিই যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উভয়পক্ষকে অধিকতর কার্যকর কোনো উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
আগেরদিন মঙ্গলবারও (১৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা এই অবস্থা নিয়ে উভয়পক্ষকে সহনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানান। তিনি উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি সংলাপকে উৎসাহিত করেন।
ভারত-ভুটান-চীনের সীমান্তবর্তী ডোকলাম মালভূমির মালিকানা নিয়েই দেশ তিনটির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে বহুকাল ধরে। নয়াদিল্লি ও থিম্পু এই মালভূমি ভুটানের মনে করলেও বেইজিং মনে করে চীনের।
১৬ জুন সিকিম সীমান্তবর্তী ডোকলামে চীনের রাস্তা তৈরি কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বেইজিং এবং নয়াদিল্লি। শেষ খবর পর্যন্ত, ভারত ও চীন উভয়পক্ষই সেখানে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাপক সৈন্যসামন্ত মোতায়েন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/