আগামী এক মাসের মধ্যে (০১ সেপ্টেম্বর) এটি কার্যকরের নির্দেশ এসেছে।
নির্দেশনায় উঠে এসেছে, কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাসের কর্মচারীর সংখ্যার সমান করতে হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের ব্যবহৃত ওয়্যারহাউজ ও ডাচা কম্পাউন্ড জব্দ করা হচ্ছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলে রাশিয়াও একইভাবে এর জবাব দেবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের পর সিনেটও রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিল পাসের পরপরই রাশিয়া এ পাল্টা জবাব দিলো।
রাশিয়ায় নতুন অবরোধে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র সিনেট
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে রুশ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবটি ৯৮-২ ভোটে পাসের পর তা বর্তমানে হোয়াইট হাউসে। ট্রাম্প এতে স্বাক্ষর করতে পারেন, আবার ভেটোও দিতে পারেন। তবে কী হয় সেটিই দেখার বিষয়। প্রেসিডেন্ট যদি ভেটো দেন তবে রাশিয়ার সঙ্গে তার ‘গভীর সম্পর্কের’ বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হবে।
এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের বিবেচনাকে সামনে এনেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। হোয়াইট হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সভাপতি এড রয়েস জানিয়েছেন, বিলটি যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট। ফলে তিনি চান প্রেসিডেন্ট এটিতে স্বাক্ষর করুক।
কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, হোয়াইট হাউসের নাকি আপত্তি ছিল, তবুও বিলটি পাস করেছে সিনেট। এদিকে ট্রাম্প যদি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করেন তবে তিনি ‘ক্রেমলিনপন্থী’ বলে সন্দেহ জোরালো হবে! এখন সময়ই বলে দেবে পরিস্থিতির মোড় কোন দিকে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭/আপডেট ১৮২৬ ঘণ্টা
জিওয়াই/আইএ/এইচএ