দেশটির হাম্বানটোটার এই বন্দর শনিবার (২৯ জুলাই) প্রায় এক দশমিক ৫ বিলিয়ন (১৫০ কোটি ডলার) মার্কিন ডলারে বিক্রির চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি থেকে পাওয়া অর্থ লঙ্কানদের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সাহায্য করবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি চীনা কোম্পানি ৯৯ বছরের জন্য বন্দর ও তার সংলগ্ন ১৫ হাজার একর জমি শিল্পাঞ্চল তৈরির জন্য লিজ নিচ্ছে।
বিভিন্ন সময় চীন দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ করেছে। অবকাঠামো থেকে শুরু করে নানাখাতে চীনা লগ্নি রয়েছে। এই বন্দর কেনার ফলে বন্দরসংলগ্ন রাস্তাঘাট আরও উন্নত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের সামরিক বাহিনী বন্দরটি ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে চুক্তিটি ঝুলে ছিল, তবে কেবলমাত্র বাণিজ্যিক কাজেই এটি ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বন্দরটি এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে সুবিধাজনক রুট।
চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের মত, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্ল্যানের অংশ হিসেবে চুক্তিটি করা।
প্রকল্পটির দিকে গভীরভাবে নজর স্থানীয় বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও জাপানের। সমুদ্রবন্দরে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাবিয়ে তোলে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক অর্থনৈতিক শক্তি ভারতকে। এমনিতেই ভারত-চীন সম্পর্ক এখন ঘোষণা-পাল্টা ঘোষণার। এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে কিনা সেটিই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
আইএ