পোস্ট বা পদের নাম ‘প্ল্যানেটারি প্রোটেকশন অফিসার (পিপিও)’। বাংলা করলে দাঁড়ায় পৃথিবীর পরিত্রাতা! এই কর্মীর বেতন ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলার বা এক লাখ ৪১ হাজার পাউন্ড।
চাকরির ধরন ফুল টাইম। প্রাথমিকভাবে তিন বছরের চুক্তি, প্রয়োজনে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়তে পারে। আর ভালো কাজ দেখাতে পারলে আছে পদোন্নতি। তখন বেড়ে যাবে বেতনও। অর্থাৎ একটু ভালো কাজ করে থেকে যেতে পারলেই বছর পাঁচেকের মধ্যে শত কোটির মালিক হয়ে যাওয়ার সুযোগ!
নাসা বলছে, চাকরি প্রার্থীকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো সময় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো পিছুটান থাকা চলবে না। পড়তে হবে দৈনিক হাজারও ই-মেইল।
যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয়েছে, কোনো বেসামরিক সরকারি প্রশাসনের শীর্ষ পদে অন্তত এক বছর কাজ করার অভিজ্ঞাতা। তাছাড়া পদার্থবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি তো তার থাকতেই হবে।
অতিরিক্ত হিসেবে থাকা চাই বিভিন্ন গ্রহের সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান।
এই পদটি একদমই নতুন নয়, অন্তত বছর ৫০ আগের। ১৯৬৭ সালে যখন আউটার স্পেস ট্রিটিতে (ওএসটি) সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তখনই পদটি তৈরি করা। এ ধরনের ফুল টাইম চাকরির আরও একটি পদ রয়েছে গোটা বিশ্বে, সেটি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ বা ‘এসা’র।
‘এসা’র সে পদটি এখন সামলাচ্ছেন যিনি, সেই ক্যাথরিন কোনলে তিনবছর আগে পর্যন্ত ছিলেন নাসার পিপিও। এই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, যে মহাকাশযানগুলোকে পাঠানো হয় বা আগামী দিনে পাঠানো হবে, সেগুলো থেকে মহাকাশে দূষণের শঙ্কা থাকে ১৬ হাজার ঘটনার মধ্যে একটি। সেটাও যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করাটাই আমাদের কাজ। খুব কঠিনও নয়, আবার খুব যে একটা সহজ কাজ, তাও বলা যাবে না।
সহসাই বৃহস্পতির চাঁদ ‘ইউরোপা’য় মহাকাশযান পাঠাবে নাসা। ফলে দূষণের শঙ্কা থাকবে বৃহস্পতির ওই চাঁদেও। সেটি যাতে না হয়, তার ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে নাসার নতুন পিপিও’কে। এছাড়া মঙ্গল নিয়ে সতর্কতা তো রয়েছেই।
এই চাকরি পেতে হলে প্রার্থীকে হতে হবে মার্কিন নাগরিক। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে চায় না সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
আইএ