এ সময় রাগান্বিত স্বরে ট্রাম্প মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে বলেন, সবকিছু আপনি রাখঢাক না রেখে প্রেসের সামনে বলতে পারেননা। এমনকি মেক্সিকো সীমান্তে আমি যে দেয়াল তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপনি তা নিয়েও কোনো কথা বলবেননা।
ওয়াশিংটন পোস্ট সম্প্রতি ট্রাম্পের সেই ফোনকলের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। একই দিনে ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে টেলিফোনে বাদানুবাদ করেন। সেই ফোন কলের ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
ওই টেলিফোন কলে ট্রাম্প পেনা নিতোকে বলেন, আপনি যদি মেক্সিকান সীমান্তে দেয়াল তুলতে টাকা দিতে না চান, এবং এনিয়ে অধৈর্য হোন এবং বাজে বক্তব্য দিতে থাকেন, তাহলে আমিও আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাইনা। কারণ আমি যার তার সঙ্গে বসতে পারিনা ও সময় নষ্ট করতে পারিনা।
ট্রাম্পের এই ফোন কলের পরই ওই দিন পেনা নিতো তার যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করার ঘোষণা দিয়ে টুইট করেন।
২৭ জানুয়ারি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে ফোন করার আগে ২৬ জানুয়ারি ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অবিলম্বে দেয়াল নির্মাণ শুরু করার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার মতো বলেন, দেয়াল নির্মাণের ব্যয় ১.৬ বিলিয়ন ডলার শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো সরকারকেই শোধ করতে হবে।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ জারির পর ওইদিন পেনা নিতো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মেক্সিকো এ ধরনের দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে ও দেয়াল নির্মাণের কোনো ব্যয় তারা পরিশোধ করবে না। এরআগ থেকেই বাণিজ্য চুক্তির ভারসাম্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে এমনিতেই শীতল সম্পর্ক চলছিলো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ ও ব্যয়ভার আদায়ের ঘোষণার নিন্দা জানান।
উল্লেখ্য মেক্সিকো সীমান্তে দুই হাজার মাইল দীর্ঘ দেয়াল তোলার বিষয়টি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তের কিছু অংশে আগে থেকেই দেয়াল রয়েছে।
নির্বাচনী প্রচার অভিযান চলাকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই দেয়াল নির্মাণে ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। মেক্সিকোকে ওই অর্থ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
আরএম/এএটি/